সোমবার, ২৪ জুলাই, ২০১৭, ০৮:৩৯:২৩

চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

নিউজ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও কৃষ্টিকে তুলে ধরে উন্নত ধারার চলচ্চিত্র নির্মাণের আহবান জানিয়েছেন। তিনি এজন্য প্রয়োজনীয় সব রকম সহযোগিতা প্রদানের ও আশ্বাস প্রদান করেন।

সোমবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৫ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি একথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই যারা বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন তারা আরো উন্নতমানের এমন সিনেমা করবেন, যা আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, কৃষ্টি সবকিছু যেন ধারণ করতে পারে এবং পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবেও আমাদের এই শিল্পটা যাতে আরো মর্যাদা অর্জন করতে পারে। বিশেষভাবে এসব দিকে আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে।’

পঁচাত্তরের বিয়োগান্তক অধায়ের পর দীর্ঘ ৬ বছর প্রবাস জীবনে বাধ্য থাকা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসার কথা স্মরণ করে বলেন, এই ফিরে আসার মধ্যদিয়ে চেষ্টা করেছি যে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল, হত্যা ক্যু, ষড়যন্ত্রের মধ্যদিয়ে দেশের ইতিহাস বিকৃত করা, আমাদের কৃষ্টিকে ধ্বংস করার একটি অশুভ তৎপরতা যেটা আমরা দেখেছিলাম আমি তার বিরুদ্ধেই প্রতিরোধ এবং প্রতিবাদ শুরু করি। বাংলাদেশে যেন একটি গণতান্ত্রিক ধারা ফিরে আসে সে প্রচেষ্টাও চালাই। দুর্ভাগ্য যে, পঁচাত্তরের পরে যারা ক্ষমতায় এসেছিলো তারা আমাদের সংস্কৃতি সম্পূর্ণ ধ্বংসের পথে নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, সেই সময়ও আমরা দেখেছি আমাদের দেশের কিছু তরুণ শিল্পী, কলা কুশলী, চিত্র নির্মাতারা এই সীমিত সুযোগের মধ্যেও অনেক নান্দনিক চলচ্চিত্র এদেশের মানুষকে উপহার দিয়েছেন। কাজেই সেই দিক থেকে আমি মনে করি আমাদের দেশের মানুষের যথেষ্ট মেধা রয়েছে। একটু সুযোগ পেলে তারা অনেক ভালো সিনেমা নির্মাণ করতে পারে।

১৯৮৬ সালে এফডিসি আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবার কথা স্মরণ করে সেসময়ে বিরোধী দলে থাকাবস্থাতেও এফডিসির সামনের সড়কটি চাপ প্রয়োগে তৎকালীন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকে দিয়ে তৈরীর প্রেক্ষাপটও স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী এ সময় চলচ্চিত্রের কলা-কুশলীদের দুসময়ে সহায়তার জন্য বিদ্যমান ট্রাষ্ট ফান্ডটিকে আরো উন্নত করারও ঘোষণা দেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান একেএম রহমতউল্লাহ। তথ্য সচিব মর্তুজা আহমদ স্বাগত বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী পরিষদ সদস্যবৃন্দ.প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বৃন্দ, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ এবং চলচ্চিত্র শিল্পে সম্পৃক্ত সব ধরনের কলা-কুশলীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে ২৫টি ক্যাটাগরিতে ৩১ জন শিল্পী, কলা-কুশলীকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৫ প্রদান করা হয়।
চিত্র নায়িকা শাবানা এবং সঙ্গীত শিল্পী ফেরদৌসি রহমান আজীবন সম্মাননা পুরকার লাভ করেন। পরে নিজস্ব অনুভূতিও ব্যক্ত করেন চিত্র নায়িকা শাবানা।

এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে