নিউজ ডেস্ক : যিনি কোচিং করবেন তার সর্বনাশ হয়ে যাবে। কোচিং বন্ধে আইন করা হচ্ছে জানিয়ে জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
সোমবার রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষক ও গ্রন্থাগারিকদের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “কোচিং একটা লাগছে। এই বেআইনি কাজ বন্ধ করে দিব। যিনি কোচিং করবেন তার সর্বনাশ হয়ে যাবে। আগে আইনটা হোক তারপর দেখতে পাবেন।
মন্ত্রী বলেন, “বেতন দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়েছে, এখন কোচিং যারা খুলবেন, কোচিং ইন্সপায়ার করবেন... আইনটা হয়ে যাক, বুঝবেন মজা। এসব করে আমাদের ছেলে মেয়েদের সর্বনাশ করে দিচ্ছেন।”
সেকন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস এনহান্সমেন্ট প্রজেক্টের (সেকায়েপ) আওতায় পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচিতে নির্বাচিত সেরা সংগঠক সম্মাননা পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রীর এই হুঁশিয়ারি আসে।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে সহযোগিতায় বই পড়া কর্মসূচিতে জড়িত ঢাকা বিভাগের ৪৪টি উপজেলার মোট ১৭৫জন শিক্ষক বা গ্রন্থাগারিককে অনুষ্ঠানে সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে তাদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে কোচিংয়ে জড়িত কিছু শিক্ষক প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে পুরো শিক্ষকতা পেশাকে কলঙ্কিত করছে বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ।
তিনি বলেন, “শেষ রাতে পরীক্ষার প্রশ্ন কীভাবে দিবে, সেটা নিয়ে থাকে। পরীক্ষার ফাঁস করানোর চিন্তা- এগুলা আর সম্ভব না। স্যারেরা খাতা দেখেন না, ওজন করে করে নম্বর দেন, চার বছর ধরে ব্যবস্থা নিয়েছি, এবার ভালোভাবে একটু খাতা দেখা হয়েছে, দেখেন, পরিবর্তন হয়ে গেছে।”
পাঠ্যবইয়ের বাইরের বই পাঠের অভ্যাস গড়ে তুলতে শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আমাদের দেশে আমরা যে পাঠদান করছি তাতে সামান্য জ্ঞান দিতে পারি। কিন্তু পড়ার অভ্যাসটা যদি গড়ে দিতে না পারি তাহলে আমাদের জ্ঞানকে প্রসারিত করতে পারব না। সেজন্য আমরা শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে অনেক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেছি।”
এমটিনিউজ/এসএস