সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০৭:৩৮:০৫

মিয়ানমারের পণ্য বর্জনে দেশবাসীর প্রতি গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বান

মিয়ানমারের পণ্য বর্জনে দেশবাসীর প্রতি গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বান

নিউজ ডেস্ক : মিয়ানমারের অর্থনৈতিক মেরুদ- দুর্বল করতে বাংলাদেশের মানুষের প্রতি তাদের পণ্য বর্জনের আহ্বান জানিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ।

সোমবার বিকাল ৪টার দিকে গুলশান দুই নম্বর গোলচত্বরে একটি সমাবেশ থেকে এ আহ্বান জানান মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার। রোহিঙ্গাদের হত্যা-নির্যাতনের প্রতিবাদে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি হিসেবে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

কথা ছিল- মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও এর। কিন্তু পুলিশি বাধায় তা সম্ভব হয়নি। সমাবেশ শেষে ইমরান এইচ সরকার নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের একটি দল মিয়ানমার দূতাবাস অভিমুখী যায়, মিয়ানমার সরকারের প্রতি ৪ দফা দাবি নিয়ে।

সমাবেশে ইমরান এইচ সরকার বলেন, দেশে দেশে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে, ইয়াবা বিক্রি করে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছে মিয়ানমার। তা দিয়ে অস্ত্রগোলাবারুদ ক্রয় করে মানুষ হত্যা করছে। কাজেই আমাদের প্রধান কাজ- মিয়ানমারের পণ্য বর্জন করা।

সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ইমরান বলেন, আপনারা মিয়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্যিক-অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেন।

গণহত্যার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে তিনি দেশের মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, রোহিঙ্গারা মুসলিম, শুধু এই হিসেবে নয়, তারা মানুষ, মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, নির্যাতন করা হচ্ছে- এই মনে করে যার যার অবস্থান থেকে প্রতিবাদ জানান এই গণহত্যার।

মিয়ানমার থেকে চাল আমদানির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ইমরান সরকারের উদ্দেশে বলেন, চাল আমদানি বন্ধ করেন। মানুষের রক্তমাখা চাল দেশের মানুষ খাবে না, দেশে ঢুকতে দেবে না। মিয়ানমার থেকে চাল আমদানি বন্ধ করুন।

বাংলাদেশের প্রশংসা করে ইমরান বলেন, মানবতায় বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেরেছে। বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে- মানবতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আপোষ করতে জানে না।

মিয়ানমারের কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমাদের দাবি- তারা যেন তাদের দেশ থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরিয়ে নেন এবং রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নাগরিকের মর্যাদা প্রদান করে। অন্যাথায় আরও দাঁত ভাঙা জবাব দেবার জন্য দেশের মানুষ প্রস্তুত।

এ সমাবেশ শেষ করে সমাবেশস্থল ঘিরে রাখা ব্যরিকেড সরিয়ে মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয় গণজাগরণ মঞ্চকে। এরপর ইমরান বলেন, গণজাগরণ মঞ্চ পূর্ব থেকেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল। পুলিশও যেন যার যার অবস্থান থেকে গণহত্যার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে