নিউজ ডেস্ক : প্রেমের টানে টাঙ্গাইলের সখীপুরে ছুটে আসা সেই মালয়েশীয় তরুণী জুলিজা বিনতে কামিস ১৭ দিন পর গত রোববার অনেকটা গোপনে পালিয়ে যাওয়া মতোই দেশ ছেড়ে নিজ দেশে চলে গেলেন।
মঙ্গলবার জুলিজার সাবেক স্বামী আজগর আলী জুলিজার মালেশিয়ায় পৌঁছানোর কথা নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার বিকেলে জুলিজার বর্তমান স্বামী মনিরুল ইসলাম বলেন, জুলিজা তার ভুল বুঝতে পেরে রোববার রাতের একটি ফ্লাইটে মালয়েশিয়া চলে যান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছয় মাস আগে টাঙ্গাইলের সখীপুরের তরুণ মনিরুলের সঙ্গে পরিচয়ের পর প্রেমের টানে মালয়েশীয় ওই তরুণী গত ২৪ আগস্ট বাংলাদেশে আসেন। পরদিন ২৫ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে জুলিজাকে নিয়ে মনিরুল সখীপুরে নিজ বাসায় যান।
ওইদিন রাতেই মনিরুলের সঙ্গে তার বিয়ের আয়োজন চলে। রাত ১১টার দিকে জুলিজার স্বামী পরিচয় দিয়ে আজগর আলী নামের এক ব্যক্তি ফোন করায় বিয়ে বন্ধ যায়। পরে জুলিজাকে মনিরুলের মামা নওশের আলীর বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। এর কয়েক দিন পর হঠাৎ করে মনিরুল জুলিজাকে নিয়ে আত্মগোপন করেন।
এর আগে আজগর আলী দাবি করেন, ২০০০ সালের দিকে আজগর আলী জীবিকার সন্ধানে মালয়েশিয়া যান। ওখানে জুলিজার সঙ্গে তার প্রেম হয়। ২০০৮ সালে জুলিজাকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশে ফিরে ঢাকায় নিজ বাসায় জুলিজার সঙ্গে তাদের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর আজগর মালয়েশিয়ায় ফিরে গিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। তাদের দাম্পত্য জীবনে চার সন্তানের জন্ম হয়। চলতি বছরের আগস্টে ব্যবসার কাজে আজগর আলী কয়েক দিনের জন্য অন্যত্র বেড়াতে যান। এই সুযোগে ওই তরুণী বাংলাদেশে মনিরুলের কাছে চলে আসেন।
এ অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে কলেজছাত্র মনিরুলের মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন দিলেও কেউ ধরেননি। তাই তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মনিরুলের বাবা বলেন, শুনেছি, মেয়েটি রোববার মালয়েশিয়া চলে গেছে। ছেলের সঙ্গে আমার ফোনে যোগাযোগ আছে। সে এখনো বাড়িতে ফেরেনি।
মনিরুলের মামা নওশের আলী বলেন, আমার বাড়িতে মেয়েটি মনিরুলের সঙ্গে আত্মগোপন করে। মনিরুলের সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ হয়নি। শুনেছি মেয়েটি মালয়েশিয়া চলে গেছে।
এমটিনিউজ/এসএস