বৃহস্পতিবার, ০৫ নভেম্বর, ২০১৫, ০৫:২৯:০৫

চলতি মাসে খালেদার, ডিসেম্বরে তারেকের

 চলতি মাসে খালেদার, ডিসেম্বরে তারেকের

নিউজ ডেস্ক : চলতি মাসে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ নয়জনের বিরুদ্ধে করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১২ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। এদিকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘পাকবন্ধু’ বলায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩০ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। খালেদা জিয়ার মামলায় ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদ্দার বৃহস্পতিবার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরার নতুন এ দিন ধার্য করেন। অপরদিকে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) প্রতিবেদন দাখিল না করায় বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম এমদাদুল হক এ দিন ধার্য করেন খালেদা জিয়ার মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দেন মেট্রোমেকার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের এমডি এ এম জাহাঙ্গীর হোসেন ও মেট্রোমেকার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ডিএমডি মাঈনুল ইমরান চৌধুরী। এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সাবেক জেনারেল ম্যানেজার মেজবাউল হককে জেরা করেন খালেদা আইনজীবী ও অন্য আসামির আইনজীবীরা। খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডনে থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার পক্ষে অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, জয়নুল আবেদীন মেজবাহ ও তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ হাজিরা দেন। এদিকে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার যে সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে তা বাতিল চেয়ে আপিল বিভাগে রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়েছে বলে জানান তার আইনজীবীরা। মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলার অপর আসামিরা হলেন খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। অপরদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুদক। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমান। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘পাকবন্ধু’ বলায় বৃহস্পতিবার তারেক রহমানের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩০ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, তারেক রহমান ২০১৪ সালের ১১ নভেম্বর পূর্ব লন্ডনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ‘কটূক্তি’ করেন ও ‘মানহানিকর’ বক্তব্য দেন। তারেক রহমান তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানী পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। তিনি বঙ্গবন্ধু নন, পাকবন্ধু। পরদিন বিভিন্ন গণমাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রকাশিত হয়। এ বক্তব্যে আওয়ামী লীগের ১০০ কোটি টাকার সম্মানহানি হয়েছে দাবি করে তারেকের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৩ মার্চ ঢাকা মহানগর হাকিম ইউনুস খানের আদালতে মামলাটি করেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফজলুর করিম। ৫ অক্টোবর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে