নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর উত্তর বাড্ডার বহুল আলোচিত বাবা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেড়িয়ে আসতে শুরু করেছে। পরকীয়া সম্পর্কের কথা জেনে যাওয়ায় এই হত্যাকান্ড ঘটে।
পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামী জামিল শেখকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন আরজিনা বেগম। এ হত্যা দৃশ্য দেখে ফেলেছিল জামিল-আরজিনার নয় বছরের মেয়ে নুসরাত। হত্যাকান্ডের সময় ঘুমিয়ে ছিল নুসরাত।
রাত তখন আড়াইটা। চিৎকার দিয়ে জামিল ঘুম থেকে উঠে বসে। রক্তাক্ত মাথায় হাত দিয়ে তাকে মারার কারণ জিজ্ঞাসা করে। এসময় ঘুম থেকে উঠে যায় জামিল ও আরজিনা দম্পত্তির নয় বছর বয়সী মেয়ে নুসরাত।
শিশু নুসরাত তার মায়ের প্রেমিক শাহীনকে প্রশ্ন করে, ‘শাহীন আংকেল আমার আব্বুকে মারছো কেন’? এসময় শাহীন জামিলের মাথায় পরপর একাধিক আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। ভয়ে জড়োসড়ো হওয়া নুসরাত তখন বিছানার এক কোণে চলে যায়।
গতকাল সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
ডিএমপির সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানা যায়, ‘রাত তখন আড়াইটা। সবাই ঘুমে নিমগ্ন। শুধু জেগে ছিল আরজিনা ও তার পরকীয়া প্রেমিক শাহীন মল্লিক। ঘরের বাইরে খোলা ছাদে এসে তারা খুনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কথা বলে।
কলাপসিবল গেটের নিচে পানির পাম্পের পাশে একটি ছোট লম্বা কাঠের লাঠি আগে থেকেই রেখেছিল শাহীন। তখন সে লাঠিটি নিচ থেকে নিয়ে আসে। এসময় ঘরে ঢুকে ঘুমে নিমগ্ন আরজিনার স্বামী জামিল শেখকে মাথায় আঘাত করে।
আঘাতটি মাথার এক কোনে লেগে পিচলে যায়। চিৎকার দিয়ে জামিল ঘুম থেকে উঠে বসে। রক্তাক্ত মাথায় হাত দিয়ে তাকে মারার কারণ জিজ্ঞাসা করে। এসময় ঘুম থেকে উঠে যায় জামিল ও আরজিনা দম্পত্তির নয় বছর বয়সী মেয়ে নুসরাত।
নুসরাত শাহীন মল্লিকে প্রশ্ন করে, ‘শাহীন আংকেল আমার আব্বুকে মারছো কেন’? এসময় শাহীন জামিলের মাথায় পরপর একাধিক আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। ভয়ে জড়োসড়ো হওয়া নুসরাত তখন বিছানার এক কোণে চলে যায়।
আরজিনা তখন তার মেয়েকে বাইরে নিয়ে আসে। শাহীনও ঘরের বাইরে বের হয়ে আসে। শাহীন আরজিনাকে বলে যে, আমি জামিলকে হত্যা করলাম তা তো নুসরাত জানলো। এখন কী হবে?
এসময় আরজিনা নিজে বাঁচার জন্য তার একমাত্র মেয়েকে হত্যার জন্য পরকীয়া প্রেমিক শাহীনকে আদেশ দেয়। তখন শাহীন নুসরাতকে ফের ঘরে ঢুকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। মায়ের সম্মতিতেই নুসরাতকে হত্যা করে শাহীন মল্লিক।’
এমনিউজ/এসবি