মঙ্গলবার, ০৭ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:৪৫:৩৬

ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ৩৮ তম বিসিএস প্রিলিমিনারী পরীক্ষা

ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ৩৮ তম বিসিএস প্রিলিমিনারী পরীক্ষা

নিউজ ডেস্ক : দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে ৩৮ তম বিসিএস প্রিলিমিনারী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন পিএসসি। এতে আবেদনকারী সর্বাধিক হওয়ায় পরীক্ষা পদ্ধতিতে গুণগত পরিবর্তনসহ সবধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার কথা জানান তারা। সেইসাথে এ বছরের মধ্যেই নেয়া হবে ৩৭ তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষাও। এদিকে, সবচে বেশি প্রতিযোগীর অংশগ্রহণের এ পরীক্ষা যত্ন ও আন্তরিকতার সাথে পরিচালনা করার পরামর্শ শিক্ষাবিদদের।

প্রত্যাশা স্বপ্নের চাকরি, আছে কিছু দায়-দায়িত্ব, একটি সুসংবাদের অপেক্ষায় পরিবার, গন্তব্য তাই অনেকদূর। আর সকাল সন্ধ্যা বিসিএস চাকরি প্রত্যাশীদের কঠোর অনুশীলনে মুখরিত লাইব্রেরি পাড়া।

সবশেষ ৩৬ তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল ও ৩৭ তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার ফলাফলের জন্য ছিল দীর্ঘ অপেক্ষা। একাধিকবার ফলাফলের তারিখ পরিবর্তন হওয়া নিয়েও ছিল হতাশা। তবে ৩৬তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফলের পর বদলে গেছে প্রেক্ষাপট। ক্যাডার ও নন ক্যাডার পদে রেকর্ড সংখ্যক সুপারিশের পর নতুন উদ্যমে চলছে প্রস্তুতি।

এসবের মধ্যেই ৩৮ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণার অপেক্ষা। এই বিসিএসে ২০২৪ টি পদের বিপরীতে জমা পড়েছে ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৫৩২ আবেদন। পরীক্ষা পদ্ধতির কিছু গুণগত পরিবর্তনসহ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুতির কথা জানান পাবলিক সার্ভিস কমিশন।

পিএসসির চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক বলেন, 'যদি খাতার মধ্যে ২০ শতাংশ পার্থক্য হয় তবে আমরা তৃতীয় পক্ষকে দিয়ে খাতা দেখাবো। প্রশ্ন বাংলা ও ইংরেজিতে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'

চলতি বছরেই ৩৭ তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ৩৮ তম বিসিএস প্রিলিমিনারী এবং ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের প্রাথমিক প্রস্তুতি নিয়ে নিজেদের তৎপরতার কথা জানালেন পিএসসির চেয়ারম্যান।

প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির যোগ বিয়োগে প্রার্থীদের জন্য অধ্যবসায়ের পাশাপাশি ধৈর্য ও সহ্যের পরীক্ষাও বিসিএস। শিক্ষাবিদরা বলছেন, এ পরীক্ষার বিষয়ে সর্বাধিক যত্নবান হতে হবে পিএসসিকে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, 'পাকিস্তান ও ভারতে এক বছরের মধ্যেই পরীক্ষা শেষ করতে পারছে। আর আমাদের দুই-আড়াই বছর লেগে যাই। এছাড়া পরীক্ষার দীর্ঘ প্রক্রিয়ার জন্য সামাজিকভাবে চাপ থাকে বলে জানান তারা।

এবিষয়ে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, 'প্রযুক্তির যুগে পরীক্ষার ফল খুব দ্রুতই প্রকাশ করা যাই। যদি ইচ্ছে থাকে। প্রশাসনের দক্ষতার হাত থাকলে এ বিলম্বের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে বলে মন্তব্য তাঁর।

গত ২০০৯ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত পাবলিক সার্ভিস কমিশন ক্যাডার পদে সুপারিশ করে ২৮, ৫২৫ জনকে, যার মধ্যে সবশেষ ৩৬তম বিসিএস থেকে ২ হাজার ৩২৩ জন।
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে