জেমস ডরসি : হোয়াইট হাউসের সমর্থন আছে ভেবে সৌদি যুবরাজ প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব মোকাবিলায় কিছু স্পর্শকাতর পদক্ষেপ নিয়ে ফেলেছেন। এখন পর্যন্ত সেসব পদক্ষেপ থেকে ফল তেমন আসেনি।
লেবাননে প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরিকে পদত্যাগে বাধ্য করিয়েছিল সৌদি আরব। কিন্তু ফ্রান্সের হস্তক্ষেপে আপাতত নিজের পদত্যাগ স্থগিত করেছেন সাদ হারিরি। ফলে দেশটিতে ইরান সমর্থিত শক্তিশালী শিয়া মিলিশিয়া বাহিনী হিজবুল্লাহর সামরিক ও রাজনৈতিক প্রভাব মোকাবিলায় সৌদি প্রচেষ্টা হোঁচট খেয়েছে।
কিন্তু তারপরও দেশটি পিছু হটছে না। ‘সৌদি আরব ও ইরানের লড়াই হবে ইরানের অভ্যন্তরে, সৌদি আরবের অভ্যন্তরে নয়,’ যুবরাজ মোহাম্মদের এমন লক্ষ্য পূরণ করতে দেশটি যেন বিরাট ঝুঁকি নিতেও প্রস্তুত।
এ মাসের শুরুতে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবেইর সতর্ক করে বলেছেন, ‘আপনি যেভাবেই পুরো বিষয়টি দেখুন না কেন, ইরানই মূলত আক্রমণাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আগাচ্ছে। আমরা এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছি মাত্র। বলছি যে, যথেষ্ট হয়েছে। আমরা আর তোমাদের কিছু করতে দেব না।’
এই যখন অবস্থা, তখনই নির্বাসিত ইরানি আরব জাতীয়তাবাদীদের নাড়াচাড়া দেখা যাচ্ছে। ইরানের তেল সমৃদ্ধ প্রদেশ খুজেস্তানকে টার্গেট করে সৌদি আরবের অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত একটি স্যাটেলাইট টিভি স্টেশন কিছু অনুষ্ঠান প্রচার করছে।
সৌদি আরব যে তেহরানকে চাপে ফেলতে ইরানের আরব সংখ্যালঘুদের ক্ষোভকে পুঁজি করার চেষ্টা চালাচ্ছে, এটি তারই নতুন লক্ষণ। এ মাসের শুরুর দিকে এই টিভি স্টেশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এমন এক প্রভাবশালী ইরানি-আরব কর্মী নেদারল্যান্ডের হেগ শহরে রহস্যজনকভাবে নিহত হয়েছেন।
এদিকে ইরান সীমান্তবর্তী পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের জঙ্গিদের কাছে সৌদি তহবিলের জোগান হঠাৎ বেড়ে গেছে বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। প্রিন্স মোহাম্মদের আশীর্বাদ আছে এমন একটি সৌদি থিংকট্যাংক সম্প্রতি একটি নীলনকশা প্রণয়ন করেছে, যাতে বেলুচ জনগোষ্ঠীকে কীভাবে সহায়তা দেওয়া যায় তার বর্ণনা দেয়া আছে। এই রিপোর্টে ইরানের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক পাল্টা পদক্ষেপ নেয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
ইরানকে মোকাবিলায় যুবরাজ মোহাম্মদের যে আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ, তার ফলাফল এখন পর্যন্ত মিশ্র। প্রতিবেশী ইয়েমেনে সৌদি আরবের আড়াই বছরব্যাপী সামরিক অভিযানের ফলে দেশটির হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও ইরান ঘনিষ্ঠতা জোরদার হয়েছে। এমনকি সৌদি সীমান্তে বিদ্রোহ জিইয়ে রাখতে হিজবুল্লাহর আদলে হুতি বিদ্রোহীদের সংগঠিত করার সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে ।
সিরিয়ার বিদ্রোহীদের প্রতি সৌদি সমর্থন থাকা সত্ত্বেও ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে উৎখাত করা যায়নি। তবে ইরাকের ওপর ১৩ বছর ব্যাপী চলমান বয়কট প্রত্যাহার করেছে সৌদি আরব। বাগদাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে সেখানে ইরানের প্রভাব কমিয়ে আনার চিন্তা করছে সৌদি আরব।
লেবাননে, হিজবুল্লাহ চাপের মুখে নতি স্বীকার করবে, বা অস্ত্র ত্যাগ করবে, এমন সম্ভাবনা ক্ষীণ। লেবাননের বাইরে হিজবুল্লাহর সামরিক সংশ্লিষ্টতা বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনাও কম, যদিও ইরাক ও সিরিয়া থেকে নিজেদের বাহিনী প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।
পাশাপাশি, হুতি বিদ্রোহীদের কাছে ব্যালিস্টিক মিশাইল সহ অস্ত্র সরবরাহের যে অভিযোগ সংগঠনটির বিরুদ্ধে, তাও তারা অস্বীকার করেছে। উল্লেখ্য, এ মাসের শুরুতে সৌদি রাজধানী রিয়াদের একটি বিমানবন্দরে হুতি বিদ্রোহীরা ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল।
ইসরাইলি গবেষক ও জেরুজালেম পোস্টের কলামিস্ট জোনাথন স্পাইয়ার বলেন, ‘এখন পর্যন্ত, লেবাননে ইরানই কার্যত জিতে গেছে। সিরিয়া ও ইরাকেও তারা জিতছে। ইয়েমেন সৌদির রক্তক্ষরণের পেছনেও ইরান। এখন পর্যন্ত খুব কম লক্ষণই দেখা যাচ্ছে যাতে প্রতীয়মান হয় যে, সৌদি আরব তাদের পূর্ববর্তী ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়েছে কিংবা ইরানিয়ান প্রভাব থেকে মধ্যপ্রাচ্যকে মুক্ত করার সামর্থ্য তাদের আছে।’
যুবরাজ সালমানের দৃশ্যমান কৌশল ও সাফল্যের যেই ইতিহাস, তা দেখে মনে হচ্ছে এসব কেবল আঞ্চলিক উত্তেজনা বৃদ্ধি করেছে এবং ইরানকে সফলভাবে মোকাবিলা করার ব্যাপারে সৌদি আরবের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। আবার যুবরাজের এসব পদক্ষেপ হতে পারে আমেরিকার নীতি কীভাবে নির্ধারিত হয়, তা বুঝতে ভুল করার ফল।
যুবরাজ সালমান দৃশ্যত মনে করেছেন যে, যতদিন তিনি প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও তার জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা (ও মেয়ের জামাই) জ্যারেড কুশনারের সমর্থন পাবেন, ততদিন তিনি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পেন্টাগন ও মার্কিন কংগ্রেস সদস্যদের সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ অগ্রাহ্য করে যেতে পারবেন। সৌদি যুবরাজের এমন ধারণা বদ্ধমূল হয়েছে সম্ভবত সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ প্রিন্স মোহাম্মদ বিন জায়েদের কারণে। এই দুই যুবরাজ নীতিগত ও কৌশলগত বিষয়ে একে অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করেন।
প্রতিবেশী কাতারের ওপর সৌদি-আরব আমিরাতের নেতৃত্বাধীন জোটের ছয়মাসব্যাপী অবরোধের প্রতি মার্কিন মনোভাবের ক্রমবিকাশ যদি আমরা পর্যালোচনা করি, তাহলে দেখতে পাই যে, ওয়াশিংটনের নীতি নির্ধারণ প্রক্রিয়া বেশ জটিল। এ জিনিসটিই দুই যুবরাজ আমলে নিতে পারেননি। তারা ভেবেছেন, প্রেসিডেন্ট আর তার ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টার আশীর্বাদ থাকলেই চলবে।
মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সংবাদদাতা আল মনিটরের ওয়াশিংটন প্রতিনিধি লরা রোজেনের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রভাবশালী রাষ্ট্রদূত ইউসেফ আল-ওতাইবা জুনে তৎকালীন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টুয়ার্ট জোন্সকে মধ্যরাতে ফোন করে কাতারের ওপর অবরোধের কথা আগেভাগে জানিয়ে রাখেন।
জোন্স জবাবে বলেন, ‘তোমরা কী করছো এসব? এটা স্রেফ পাগলামো।’ ওতাইবা পালটা প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কি হোয়াইট হাউসের সঙ্গে কথা বলেছেন?’ অর্থাৎ, হোয়াইট হাউসের সমর্থনকেই যথেষ্ট ভেবেছে দেশগুলো।
এটি সত্য যে, প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প কাতার ইস্যুতে প্রকাশ্যেই সৌদি-আরব আমিরাতের অবস্থানের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছিলেন। সৌদি-আমিরাত জোট বলেছিল, তাদের ১৩ দফা দাবি না মানলে, কাতারের ওপর অবরোধ প্রত্যাহার করা হবে না, সমঝোতাও করা হবে না। তখনও ট্রাম্প তাদের পক্ষে ছিলেন। কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিসের প্রণীত মার্কিন নীতিতে মাঝামাঝি অবস্থানের কথাই বলা ছিল, যা কিনা কাতারের অবস্থানের কাছাকাছি।
সম্প্রতি, সংযুক্ত আরব আমিরাতে এক সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে রিপাবলিকান লবিস্ট এড রজার্স উপসাগরীয় দেশগুলোকে ওয়াশিংটনে তাদের যোগাযোগ বিস্তৃত করতে বলেছিলেন। শুধুমাত্র ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস নিয়ে পড়ে না থেকে, তিনি মার্কিন সরকারের অন্যান্য শাখা, এমনকি কংগ্রেসের ডেমোক্রেটদের সঙ্গেও যোগাযোগ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন।
পরে আল মনিটরকে রজার্স বলেন, ‘আমি এই যুক্তি দেখিয়েছি যে, ওয়াশিংটনে যেকোনো লবিং প্রচেষ্টায় কংগ্রেস ডেমোক্রেটদের অগ্রাহ্য করা উচিত হবে না। ২০১৮ সালেই হয়তো তারা কংগ্রেসের একটি কক্ষের নিয়ন্ত্রণ পাবে।’
এড রজার্সের কথার ফল পাওয়া গেল গত সপ্তাহেই।
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ ইয়েমেনে সৌদি-জোটের অভিযানের প্রতি মার্কিন সামরিক সমর্থন নিয়ে বিতর্কের মঞ্চ প্রস্তুত করে ফেলেছে। প্রতিনিধি পরিষদে বিপুল ভোটে একটি প্রস্তাবনা পাস হয়েছে, যেটি বাধ্যতামূলক না হলেও গুরুত্বপূর্ণ।
এতে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের প্রতি মার্কিন সহায়তা কংগ্রেসের অনুমতি ছাড়াই দেওয়া হচ্ছে। কংগ্রেস শুধুমাত্র ইয়েমেনের জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান অনুমোদন করেছিল, হুতি বিদ্রোহীদের মতো ঘরোয়া সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে নয়। শুধুমাত্র হোয়াইট হাউসের ওপর নির্ভর করলে সমস্যা কী হতে পারে, তারই ইঙ্গিত ছিল এটি।
কিন্তু, শুধুমাত্র হোয়াইট হাউসের ওপর সৌদি আরব ও আরব আমিরাতের নির্ভরশীলতার এই প্রবণতা বিস্ময়কর। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রে আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আল ওতাইবা ও সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আল-জুবেইর উভয়ই ওয়াশিংটনের অন্দরমহলে দক্ষ কূটনীতিক বলেই পরিচিত। এছাড়া, বেশ কয়েকটি জনসংযোগ ও লবিং প্রতিষ্ঠানও মোটা অঙ্কের অর্থ পাচ্ছে দুই দেশ থেকে।
ওয়াশিংটনে কর্মরত বিদেশি কূটনীতিকদের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী ও যোগাযোগধারীদের অন্যতম হিসেবে আল-ওতাইবার খ্যাতি আছে। প্রায় এক দশক ধরে তিনি আমেরিকায় আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত। অপরদিকে আমেরিকায় পড়াশুনা করে আসা আল জুবেইরও ওয়াশিংটনে সৌদি দূতাবাসের দায়িত্বে ছিলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রী হওয়ার আগে আমেরিকায় রাষ্ট্রদূতও ছিলেন।
তাই বলা যায়, ওয়াশিংটনের সমর্থন লাভের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র হোয়াইট হাউসের ওপর নির্ভরশীল থাকার কৌশল তাদের পরামর্শে নেয়া হয়নি। এটি মূলত যুবরাজ সালমানের কাজ। ২০১৫ সালের শুরুর দিকে তার প্রাথমিক উত্থানের সময় থেকে এটি হচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ারও দুই বছর আগের ঘটনা। তখন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সংশ্লিষ্টতা হ্রাসের যে নীতি নিয়েছিলেন, তা ঠেকানোর চেষ্টা করছিলেন যুবরাজ সালমান।
২০১৬ সালের শুরুর দিকে ইকোনমিস্ট ম্যাগাজিনকে যুবরাজ মোহাম্মদ অনুযোগের সুরে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই উপলব্ধি করতে হবে যে, বিশ্বে তারাই এক নম্বর। তাই তাদেরকে সেভাবেই আচরণ করতে হবে।’ তিনি তাগাদা দিয়ে বলেন, যত দ্রুত যুক্তরাষ্ট্র সংশ্লিষ্টতা ফের বৃদ্ধি করবে, ততই মঙ্গল। আর যুবরাজের কাছে, মার্কিন সংশ্লিষ্টতা পুনরায় বৃদ্ধি করার অর্থ হলো, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় সৌদি আরবের দৃষ্টিভঙ্গি উজ্জ্বল করতে তার প্রচেষ্টায় আমেরিকার পুরো সমর্থন।
ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য নীতিতে যেসব অগ্রাধিকার আছে, তা যুবরাজ মোহাম্মদের চাহিদার সঙ্গে মিলে যায়। যেমন, ইরানকে মোকাবিলা করা, চরমপন্থা মোকাবিলা করা, ইসরাইল-সৌদি প্রকাশ্যে সহযোগিতার দ্বার উন্মোচনের লক্ষে ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংকট সমাধান করা। এসব লক্ষ্য অর্জন নিয়ে শুধু হোয়াইট হাউস নয়, মার্কিন প্রশাসন ও কংগ্রেসের অনেকেই আগ্রহী। কিন্তু সমস্যা হলো, এদের অনেকেই মনে করেন, যুবরাজ মোহাম্মদ যেভাবে এসব কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে চান, তা হয়তো বিপর্যয় ঘটাবে, নয়তো উল্টো ফল বয়ে আনবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্বেগের প্রতিফলন দেখা গেছে এ সপ্তাহে প্রকাশিত এক সতর্কবার্তায়ও। সতর্কবার্তায় মার্কিন নাগরিকদেরকে সৌদি আরবে চলাচলের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেওয়ার পরপরই ওয়াশিংটনভিত্তিক সৌদি-আমেরিকান পাবলিক রিলেশন্স অ্যাফেয়ার্স কমিটির প্রধান সালমান আল-আনসারি পরামর্শ দিয়ে বলেছিলেন, আমেরিকান সমাজের বিভিন্ন অংশের কাছে পৌঁছাতে হবে সৌদি আরবকে।
তিনি বলেন, ‘সৌদি আরবের বড় একটি দুর্বলতা হলো তার প্রকাশ্য কূটনীতির দুরবস্থা। বিশেষ করে, আমেরিকান জনগণের কাছে নিজেদের অর্থনৈতিক ও জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ পৌঁছানোর ব্যাপারে সৌদি আরব ব্যর্থ। মিডিয়া প্রচারের ক্ষেত্রে নিজেদের প্রয়োজনের চেয়ে সৌদি আরব যোজন যোজন পিছিয়ে। এই যুগে তথ্য এত দ্রুত আদান প্রদান হয় যে, আমেরিকান জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর কোনো বিকল্প তাদের নেই।’
(জেমস ডরসি মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাবেক সাংবাদিক ও মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ। এই লেখাটি তার ব্লগে প্রকাশিত একটি নিবন্ধের অনুবাদ।) এমজমিন
এমটিনিউজ/এসবি