গাজীপুর থেকে : রাজধানীর গুলশানের নিজ বাড়িতে শিল্পপতি লতিফুর রহমানের মেয়ে শাজনীন তাসনিম রহমানকে সম্ভম নষ্ট ও হত্যা মামলার আসামি শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদের ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টায় গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের হাইসিকিউরিটি কারাগারে তার ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয় বলে জানিয়েছেন, সিনিয়র জেল সুপার মিজানুর রহমান। রায় কার্যকরকে ঘিরে কারা ফটকের সামনে বিকেল থেকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদের বাড়ি গোপালগঞ্জের মকসুদপুর এলাকায়। কাশিমপুর কারাগারের জেলার বিকাশ রায়হান জানান, গুলশানে নিহত শাজনীন তাসনিম রহমান হত্যা মামলার আসামি শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদ কারাগারের গত ৫বছর ধরে বন্দি ছিলেন। রিভিউ খারিজের পর তাকে কারাগারের কনডেম সেলে রাখা হয়।
পরে তার মৃত্যু পরোয়ানা কারাগারে এসে পোঁছায় এবং আদালতের রায় কার্যকরের জন্য কারাগারে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও প্রস্তুতি নেয়া হয়। রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে কারাগারের জল্লাদ রাজু শহীদের ফাঁসি কার্যকর করেন।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালের ২৩শে এপ্রিল রাতে গুলশানের নিজ বাড়িতে খুন হন স্কুল ছাত্রী শাজনীন তাসনিম রহমান। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় শাজনীনের বাবা লতিফুর রহমান গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
একই বছরের ৪ঠা সেপ্টেম্বর ওই ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপর একটি সম্ভমহানী ও হত্যা মামলা করে সিআইডি। তদন্ত শেষে প্রথম মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত-১ এবং দ্বিতীয় মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। দুটি মামলাতেই আদালত অভিযোগ গঠন করেন।
ঘটনার প্রায় পাঁচ বছর পর ২০০৩ সালের ২রা সেপ্টেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক মামলাটির রায় ঘোষণা করেন। রায়ে শাজনীনকে সম্ভ্রমহানী ও খুনের পরিকল্পনা এবং সহযোগিতার দায়ে ছয় আসামিকে ফাঁসির আদেশ দেন আদালত।
২০০৬ সালের ১০ই জুলাই হাইকোর্ট নিম্ন আদালতে দেয়া ৫ জনের মৃত্যুদন্ডাদেশ বহাল রেখে অপর আসামিকে খালাস দেন। এরপর ৫ আসামি হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন।
এমটিনিউজ/এসএস