নিউজ ডেস্ক : আওয়ামী লীগের উপ-কমিটিতে সহ-সম্পাদক পদে স্থান না পাওয়াদের বিক্ষোভের খবরকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি জানিয়েছেন, গত শনিবার রাতে ধানমণ্ডির দলীয় কার্যালয়ে পদবঞ্চিতরা বিক্ষোভ করেননি, বরং পদপ্রাপাপ্তরা আনন্দ মিছিল করেছেন।
রোববার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। গত সপ্তাহে আওয়ামী লীগের ২৭টি কেন্দ্রীয় উপ-কমিটি গঠনে প্রক্রিয়া শুরু হয়। সহ-সম্পাদক ও সদস্যসহ কিন শতাধিক নেতার নাম উপ-কমিটিতে আসে। অভিযোগ ওঠে, দলে অনুপ্রবেশকারী, বিতর্কিত ব্যক্তিরা কমিটিতে সহ-সম্পাদক হয়েছেন।
এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ওবায়দুল বলেন, 'তারা আনন্দ মিছিল করছিল। একে বলা হলো বিক্ষোভ মিছিল! সেক্রেটারিকে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল! এটা অন্যায়, এটা কষ্টকর। তিনি দাবি করেছেন, সঠিক তথ্য পাওয়ার পর পদবঞ্চিতরা আনন্দ করেছেন। '
ওবায়দুল কাদের সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিক্ষোভের মুখে নয়, নামাজ আদায়ের জন্য তিনি দরজা বন্ধ করেছিলেন। প্রকাশিত খবরে কষ্ট পেয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, 'লিখেছে, ওবায়দুল কাদের অবরুদ্ধ ছিলেন। তেমন কিছু দেখিনি। নামাজ পড়ছিলাম। তখন দরজা বন্ধ ছিল। অজু করে নামাজ পড়ি, হাট করে দরজা খুলে নামাজ পড়ব? খুব কষ্ট পেয়েছি, বিশ্বাস করেন।'
ওবায়দুল কাদের বলেন, কমিটি চূড়ান্ত হয়নি। খসড়া কমিটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে চলে আসায় বিভ্রান্তি তৈরি হয়। সমস্যা সমাধানে আগামী তিন মাসে যাচাই বাছাই করা হবে, খসড়া কমিটিতে বিতর্কিত বা অনুপ্রবেশকারী কোন ব্যক্তি জায়গা পেয়েছেন কী না। এমন কাউকে পাওয়া গেলে তাদের বাদ দেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, উপ-কমিটিতে সবাই সদস্য থাকবেন। সহ-সম্পাদক থাকছে না জানিয়ে তিনি বলেন, 'সহ সম্পাদক পদ নিয়ে অনেকে এমপিদের বিরক্ত করে।'
সংবাদ সম্মেলনে আগামী নির্বাচন ও নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, বিএনপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা চেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালীন সরকারের কোন রূপরেখা দেবেন না। রূপরেখা দিতে হবে বিএনপকে। তারা কী রূপরেখা দেয় তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছি।
আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে কী না-এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের কিছু করার নেই বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া না নেওয়া বিএনপির অধিকার। এখানে আওয়ামী লীগের কিছু করার নেই। নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে; রংপুরে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। বিএনপির এরপরও কমিশনের ওপর আস্থা না থাকলে, কিছু করার নেই।
এমটিনিউজ/এসএস