ছাই কিনতে দরপত্র!
নিউজ ডেস্ক : এবার ছাই কিনতে দরপত্র আহবান। অবিশ্বাস হলেও তা বাস্তব। এক সময় ঘরের গৃহিণীদের কাছে ছাইয়ের অনেক কদর ছিল। কারণ প্রতিদিন হাঁড়ি-পাতিল, বাসনকোসন মাজতে এটা একেবারে অপরিহার্য ছিল। এখন অবশ্য ছাইয়ের জায়গায় স্থান করে নিয়েছে ভিম বা বিভিন্ন ধরনের পাউডার। হরেকরকম পাউডারের বাজারে এখন ছাইয়ের কদর কিছুটা কমে গেছে। এক সময় ছাইয়ের জন্য এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করতে হতো না। হাত বাড়ালেই ছাই পাওয়া যেত। কিন্তু এখন ছাই রীতিমতো বিক্রি হয়। আর দাম, তাই বলে কম নয়। ছাই দিয়ে দাঁত মাজার প্রচলন এক সময় গ্রামগঞ্জে প্রচুর ছিল। এখন টুথপেস্টের বদৌলতে এর প্রচলন বেশ কমে গেছে।
এই ছাইয়ের বেশ কিছু গুণ রয়েছে। তা না হলে ছাই নিয়ে সরকারি অফিস রীতিমতো দরপত্র আহ্বান করবে কেন। সম্প্রতি ছাইকে সার হিসেবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আর ছাই সৃষ্টি হবে বর্জ্য দিয়ে। তাও আবার সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য দিয়ে। গত ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও জনসেবা নামে একটি প্রকল্পের প্রস্তাব দেয় স্থানীয় সরকার বিভাগের মাধ্যমে। প্রথমে এই প্রকল্পের নাম দেয়া হয় ‘ডেলিভারি সেবা দ্রুতকরণ’। কিন্তু এ নামটি প্রধানমন্ত্রীর পছন্দ হয়নি। যে কারণে তিনি সভায় নির্দেশনা দেন নামটি পরিবর্তনের জন্য। আর পরিবর্তন করে যে নাম রাখা হয় তা হলো, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও জনসেবা উন্নয়ন। এর জন্য যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করতে হবে। আর এই সংগ্রহ নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে উত্তর সিটি কর্পোরেশনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যন্ত্রপাতি দুটো সিটি কর্পোরেশনকে সমন্বয় করতে হবে বলে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দেন। আর বর্জ্যগুলোকে চুল্লির মাধ্যমে পুড়িয়ে ছাই করতে হবে। তবে এই ছাই যেখানে-সেখানে ফেললে চলবে না। এই ছাই সার হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। আর ছাই থেকে সার তৈরির জন্য প্রয়োজনে একটি প্রকল্প করতে হবে। দেরি হলে চলবে না। যত দ্রুত এ প্রকল্প তৈরির নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর। এর পাশাপাশি টেন্ডার নিয়ে মস্তানি কিংবা মারামারি বন্ধ করতে সিটি কর্পোরেশনের সব টেন্ডার অনলাইনের মাধ্যমে খুব দ্রুত করার নির্দেশ দেন তিনি।
এদিকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৪ কোটি ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এই প্রকল্পের জন্য সরকার দেবে ৫৯ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। বাকি টাকা দেবে সিটি কর্পোরেশন নিজে।নাগরিক সেবার মান বাড়ানোর জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করবে।
২৩ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ