মধ্যরাতে র্যাবের অভিযানে ‘দুই জঙ্গি’ নিহত
নিউজ ডেস্ক : ঢাকা ও চট্টগ্রামের পর গাজীপুরে একটি ‘জঙ্গি আস্তানায়’ র্যাবের অভিযানে দুজন নিহত হয়েছেন। গাজীপুরে চট্টগ্রাম বাইপাস সড়কের কাছে জুগিতলার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে রোববার মধ্যরাতে এই অভিযান শুরু হয়।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেন, জঙ্গিরা অবস্থান করছে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযানে যায় র্যাব সদস্যরা। অভিযানের সময় বাড়ির ভেতর থেকে র্যাবকে লক্ষ করে বোমা হামলা চালানো হয়। এরপর র্যাব সদস্যরা পাল্টা গুলি করে।
ঘরের ভেতরে দুজনের গুলিবিদ্ধ লাশের ছবি টেলিভিশনে দেখা যায়। অভিযানের পর রাত ২টায় মুফতি মাহমুদ ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, “এখানে দুজন মারা গেছেন। তবে তাদের পরিচয় এখনও আমরা জানি না।”
একটি গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মিনহাজুল ও মাহবুব নামে দুই জঙ্গি রোববার কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। মুক্তির পর কারাফটক থেকে তাদের ধরে নিয়ে গিয়েছিল র্যাব।
তবে অভিযানে নিহত দুজন তারা কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মুফতি মাহমুদ জেএমবির দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, “নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের কয়েকজন এখানে মিলিত হয়ে নাশকতার পরিকল্পনা করে বলে আমাদের কাছে খবর ছিল।”
এখানে কি দুজনই ছিল- সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমাদের সদস্যরা চারপাশ ঘিরে রেখেছিল। কারও পালানোর সুযোগ ছিল না।”
‘জঙ্গিদের ছোড়া বোমায়’ র্যাবের এক সদস্য আহত হন বলে মুফতি মাহমুদ জানান। তাকে ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি। “স্প্লিন্টারে আমাদের একজন আহত হয়েছেন। তাকে চিকিৎসার জন্য আগেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
টেলিভিশনের ছবিতে দেখা যায়, একটি প্লটের এক কোনায় আস্তরহীন লাল ইটের তৈরি একটি ঘর ঘিরে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন র্যাব সদস্যরা। ঘরটিতে জানালাও নেই। দরজা ছিল, তা খোলা। ভেতরে পড়ে ছিল লাশ দুটি।
র্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলকে ঘরটির ভেতরে-বাইরে তল্লাশি চালাতে দেখা যায়। ঘরটি থেকে জেএমবির বিভিন্ন পুস্তিকাসহ বোমা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জামও বের করেন র্যাব সদস্যরা।
মুফতি মাহমুদ জানান, ঘরের ভেতরে তিনটি বোমা এবং একটি পিস্তল ও পাঁচ রাউন্ড গুলি পাওয়া যায়।
ঘরের বাইরের জমিতে পাওয়া একটি ব্যাগ থেকে বোমা তৈরির বিপুল সরঞ্জাম ও জেএমবির কাগজপত্র পাওয়া যায় বলে জানান তিনি।
গাজীপুরে এই অভিযানের ২৪ ঘণ্টা আগে শনিবার গভীর রাতে চট্টগ্রামের হাটহাজারির একটি বাসায় অভিযান শুরু করে গোয়েন্দা পুলিশ। সেখান থেকে রাইফেল, বিস্ফোরক, গুলি ও সেনাবাহিনীর পোশাক উদ্ধার করা হয়।
তার আগে গত বৃহস্পতিবার প্রায় ১৪ ঘণ্টা মিরপুরের শাহ আলী থানার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তিন জেএমবি সদস্যকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি ১৬টি ‘হাতে তৈরি গ্রেনেড’ ও বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ। -বিডি নিউজ
২৮ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস
�