নিউজ ডেস্ক : রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্র'তারক শাহেদকে নয়দিন ধ'রে অনুসরণ করে র্যাব। এরপরেই বুধবার ভোর ৫টায় তাকে গ্রে'ফতারে সক্ষম হয় তারা। র্যাবের এডিজি অপারেশন কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার বুধবার (১৫ জুলাই) সকালে তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সামনে শাহেদকে গ্রে'ফতারের ঘটনার বর্ণনা দেন।
এদিকে ওই ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম। তিনি জানান, ফজরের নামাজের জন্য গিয়েছিলেন মসজিদে। নামাজ শেষ হওয়ার পরপরই তারা চিৎকার শুনতে পান। হৈ চৈ শুরু হয়ে যায়। সবাই ঘটনাস্থলে দৌড়ে যান। গিয়ে তারা বিস্মিত হন। সারা দেশে যাকে নিয়ে এত আলোচনা সেই শাহেদকে ধ'রে ফেলেছে র্যাব।
হোটেল ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম বলেন, আমরা যখন নামাজ শেষ করেছি, সেই মুহূর্তেই তিনটি র্যাবের গাড়ি খুব গতিতে চলে গেল। ২-৩ মিনিট পরই আওয়াজ আসতে লাগলো আল্লাহু আকবার, ধ'রে ফেলেছি, ধ'রে ফেলেছি। আমিসহ মসজিদের মুসল্লিরা ও এলাকার বাসিন্দারা দৌড়ে ঘটনাস্থলে আসি কী ঘটেছে দেখার জন্য। গিয়ে দেখি বর্তমানের আলোচিত প্রতারক শাহেদ করিমকে ধ'রে ফেলেছে র্যাব। হাতে হাতকড়া পরাচ্ছে তখন। কাছে একটি পিস্ত'লও পেয়েছে।
তিনি ওই ব্রিজের পাশে একটি ছোট ড্রেন দেখিয়ে বলেন, ওইখানে একটি নর্দমার মতো রয়েছে। সেই ড্রেনের ভেতরে বোরকা পরে শুয়ে ছিলেন প্রতারক শাহেদ। শোয়া অবস্থায় তাকে গ্রে'ফতার করে র্যাব। এ সময় তার পরণে শার্ট, প্যান্ট ও বোরকা ছিল। আর তার কোমরে ছিল একটি পি'স্তল। পরে র্যাব উপস্থিত জনতার সঙ্গে কথা বলে ও ছবি তুলে তাকে এখান থেকে নিয়ে যায়।
এদিকে র্যাবের এডিজি অপারেশন কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার বুধবার (১৫ জুলাই) সকালে পুরাতন বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের জানান, ঘন ঘন অবস্থান পরিবর্তনের কারণে মোহাম্মদ শাহেদের কাছাকাছি কয়েকবার পৌঁছানো সম্ভব হলেও তাকে গ্রে'ফতার করা যায়নি।
তিনি বলেন, ‘গত ৯ দিন ধরে আমরা তাকে ফলো করেছি। কিন্তু তিনি ঘন ঘন জায়গা পরিবর্তন করছিলেন। এজন্য কয়েকবার আমরা তার খুব কাছাকাছি যাওয়ার পরও ধ'রতে পারিনি। এছাড়া সে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও ফেলে দিলেছিল। অবশেষে বুধবার ভোররাতে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টার সময় তাকে গ্রে'ফতার করা হয়।’