নিউজ ডেস্ক : মাস্ক পরার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান বলেছেন, আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যাই। সেখানে একজন নিকটাত্মীয়ের মাধ্যমে আমার স্ত্রী করোনায় আক্রা'ন্ত হয়ে মা'রা যান। সেখানে ওই নারী এবং আমার স্ত্রী দু'জনই মাস্ক ছাড়া ছিলেন। যার কাছ থেকে আমার স্ত্রী সং'ক্র'মিত হয়েছিলেন, তিনি এখন সুস্থ।
তাই এখন আমার কাছে বার বার মনে হয় মাস্ক পরিহিত থাকলে হয়তো আমার স্ত্রীকে ম'রতে হতো না। গতকাল শনিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে কিশোরগঞ্জে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়ের পর তিনি এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য সচিব। এসময় তিনি জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পরিবর্তনসহ একটি বি'ব্র'তকর ও ক'ঠিন সময়ে নতুন দায়িত্ব পেয়েছি। আশা করি সততা ও দেশপ্রেম নিয়ে এ দায়িত্ব পালন করতে পারবো।
কোভিড-৯ মো'কাবিলায় ঘরের বাইরে ও অফিস-আদালতে মাস্কপরা বা'ধ্যতামূলক করে মন্ত্রণালয় থেকে পরিপত্র জারি করা হয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান বলেছেন, এটি নি'শ্চিত করতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে টাক্সফোর্স গঠন করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ এ ব্যা'পারে ক'ঠো'র ভূমিকা পালন করবে। আমরা মানুষকে সচেতন করছি। কোনো অবস্থাতেই ব্য'র্থ হলে চলবে না। প্রয়োজনে আরও ক'ঠো'র প'দক্ষে'প নেয়া হবে।
এসময় জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ, স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. মো. হাবিবুর রহমান, সিভিল সা'র্জন ডা. মুজিবুর রহমান, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, উপ-পরিচালক ডা. মো. হেলাল উদ্দিন, ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মো. হিবরুল বারী, জেলা বিএমএ-এর সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুল ওয়াহাব বাদল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।