সোমবার, ২২ মার্চ, ২০২১, ০২:১১:৩৫

নরেন্দ্র মোদি বিশ্বের কাছে যার আরেক পরিচয় ‘গুজরাটের কসাই’: হেফাজতে ইসলাম

 নরেন্দ্র মোদি বিশ্বের কাছে যার আরেক পরিচয় ‘গুজরাটের কসাই’: হেফাজতে ইসলাম

নিউজ ডেস্ক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে হেফাজতে ইসলাম। মোদির আমন্ত্রণপত্র বাতিলের জন্য তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। অন্যথায় রাজপথে সংঘাতমূলক কর্মসূচি না থাকলেও সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে হেফাজতে ইমসলাম।

সোমবার (২২ মার্চ) হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি জুনায়েদ আল হাবিব সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

জুনায়েদ আল হাবীব বলেন, ‘হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। উম্মতে মুসলিমার ইমান-আকিদার সংরক্ষণ এবং নাস্তিক মুরতাদ ও ইসলামবিদ্বেষী গোষ্ঠীর ঘৃণ্য অপতৎপরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে ইসলামের মর্যাদা সমুন্নত রাখা এই সংগঠনের প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। একইসঙ্গে দেশবিরোধী যেকোনো চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো হেফাজতের নৈতিক কর্তব্য।’

তিনি বলেন, ‘২০১০ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত হেফাজতে ইসলাম-বাংলাদেশ ইমান-আকিদার সংরক্ষণে আপসহীন ও সাহসী ভূমিকা পালন করে আসছে। এ কারণে প্রায় ৯০ ভাগ মুসলমানের এই দেশে ছদ্মবেশী গোষ্ঠী ইসলামকে নিজেদের অপতৎপরতা মোকাবিলায় শক্ত প্রতিপক্ষ ভেবে প্রকাশ্যে ও ছদ্মবেশে বারবার নিজেদের দুরভিসন্ধি বাস্তবায়নের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। তাদের চক্রান্ত আমাদেরকে নিজেদের কাজের ব্যাপারে আরও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করেছে। হেফাজতে ইসলামের প্রতি দেশবাসীর ভালবাসা এবং আস্থাও বৃদ্ধি পেয়েছে।’

জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সরকার বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছে। এসব প্রোগ্রামকে অতিথি হিসেবে বেশ কয়কজন রাষ্ট্রনেতা অংশগ্রহণ করছেন। অতিথিদের তালিকায় রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিশ্বের কাছে যার আরেক পরিচয় ‘গুজরাটের কসাই’। এ ব্যাপারে আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য হচ্ছে, এমন কাউকে বাংলাদেশে নিয়ে আসা উচিত হবে না বা যার আগমণ এদেশের মানুষকে আহত করবে।’

তিনি বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একজন মুসলিমবিদ্বেষী হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিত। তিনি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে তার প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে এবং হত্যাযজ্ঞের ইতিহাস ভুলে যাওয়ার মতো নয়। ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংস এবং সেখানে অন্যায়ভাবে মন্দির নির্মাণের সিদ্ধান্তে আমাদের হৃদয়ে রক্তপাত হয়। এছাড়াও কাশ্মীরে মুসলিম নির্যাতন এবং নাগরিকত্ব আইনসহ প্রতিটি মুসলিমবিরোধী সিদ্ধান্তের মূলহোতা এই নরেন্দ্র মোদি। বছর খানেক আগে তার অনুসারীদের হাতে দিল্লিতে মুসলমানদের রক্তের বন্যা বয়ে গেছে। শত বছরের ঐতিহ্যবাহী মসজিদের মিনার ভেঙে সেখানে হিন্দুত্ববাদী গেরুয়া পতাকা টানানো হয়েছে।’

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে