শুক্রবার, ০২ এপ্রিল, ২০২১, ১২:১৯:৫৪

‘তিনি মারা যাওয়ার পর আমি নিজে হাসনাকে ফোন করি’

‘তিনি মারা যাওয়ার পর আমি নিজে হাসনাকে ফোন করি’

নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমের মেধার প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় সংসদে শোক প্রস্তাব ওপর আলোচনায় বৃহস্পতিবার শেখ হাসিনা মওদুদ সম্পর্কে বলেন, একটা ট্যালেন্টেড মানুষ ছিল; কিন্তু সেটি যদি যথাযথভাবে দেশপ্রেমে কাজে লাগতেন, তা হলে হয়তো দেশকে অনেক কিছু দিতে পারতেন; এটি হলো বাস্তবতা।

মওদুদ আহমদের মৃত্যুতে শোক জানানোর প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি মারা যাওয়ার পর আমি নিজে হাসনার (মওদুদের স্ত্রী হাসনা মওদুদ) সঙ্গে কথা বলি। কারণ, হাসনার সঙ্গে আমার পরিচয় ছিল। তাকে আমার শোকবার্তাও জানিয়েছি।’

পল্লীকবি জসীমউদ্দিনের জামাতা বলে মওদুদের প্রতি একটা সহানুভূতি ছিল জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, মওদুদ ব্যারিস্টারি পাস করে ১৯৬৯ সালে বাংলাদেশে আসেন।  তিনি কবি জসীমউদদীনের মেয়ের জামাই বলে সবসময় তার প্রতি একটু সহানুভূতি ছিল।  কিন্তু কিছু কিছু কাজ তার সবসময় একটু ভিন্ন ধরনের ছিল। যার কারণে ১৯৭৩ সালে তাকে একবার গ্রেফতারও করা হয়।  কারণ বাংলাদেশের কিছু গোপন তথ্য তিনি সেই সময় পাচার করছিলেন।  কবি জসীমউদ্দিন সাহেব নিজে এসেছিলেন আমাদের বাসায়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কাছে অনুরোধ করলে তখন তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরেকজন ভদ্রলোকের কথা বলতেই হয়- ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। যদিও কখনো ছাত্রলীগ করেননি। তিনি সব সময় একটু সরকার ঘেঁষাই ছিলেন। তবে ব্যারিস্টারি পাস করে ১৯৬৯ সালে যখন বাংলাদেশে আসেন… জানেন যে তিনি কবি জসীমউদ্দিনের মেয়ের জামাই বলে সব সময় তার প্রতি একটা সহানুভূতি ছিল।

সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৬ মার্চ মারা যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ। তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে