শনিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২১, ০৮:৩৯:১৯

অবশেষে বর্তমানে তরুণরা বেশি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আসল কারণ জানা গেল

অবশেষে বর্তমানে তরুণরা বেশি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আসল কারণ জানা গেল

নিউজ ডেস্ক: এবার করোনা (কোভিড-১৯) মহামারিতে তরুণরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন বলে গত ২৯ মার্চ জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

সেদিন এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, ‘প্রথম দিকে মানুষ বাইরে কম বের হত। তখন আমরা দেখেছি, যারা বাইরে যাচ্ছেন, কাজে যাচ্ছেন, তাদের মধ্যে সংক্রমণের হার বেশি। বিশেষ করে ইয়াংরা এখন অনেক বেশি বের হয়। এ কারণে তাদের মধ্যে সংক্রমণের হার বেশি দেখা যাচ্ছে।

 এই তরুণদের মাঝে করোনা শনাক্তের হার বেড়ে যাওয়াকে উদ্বেগজনক লক্ষণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, তরুণরাই বয়স্ক ও শারীরিকভাবে দুর্বলদের মাঝে এই ভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বেশি দায়ী। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে বেশিরভাগই কিন্তু বয়স্ক। ফলে এখন সংক্রমণে মৃত্যুর হার বেড়েছে। 

রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) তথ্য অনুযায়ী, গত ৫ এপ্রিল করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া রোগীদের মধ্যে ৬৮ দশমিক ৮ শতাংশের বয়স ১৯ থেকে ৪৮ বছর। তাদের মধ্যে শতকরা ২৭ শতাংশের বয়স ৪৯ এর বেশি।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তরুণদের মধ্যে শনাক্তের হার শতকরা ৬০ শতাংশেরও বেশি। গত বছর এপ্রিলে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৫০ শতাংশেরও কম ছিলেন তরুণরা।

শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, করোনায় আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে শতকরা ৮০ দশমিক ৭৩ শতাংশের বয়স ৫০ বছরের বেশি ছিল।

শারীরিকভাবে দুর্বল ও বয়স্করা ঝুঁকিতে-
আইইডিসিআর’র এক কর্মকর্তা বলেন, বয়স্করা সাধারণত ঘর থেকে খুব একটা বের হন না। বাইরে বেশি বের হওয়ার কারণে তরুণরা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন এবং তারা তাদের পরিবারের শারীরিকভাবে দুর্বল ও বয়স্ক সদস্যদেরকে ঝুঁকিতে ফেলছেন।

আইইডিসিআর পরিচালক তাহমিনা শিরিন গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘নিজেদের বাড়ি হচ্ছে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত জায়গা। কারণ, বাড়িতে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মানি না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলা তরুণরা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের মধ্যে তা ছড়িয়ে দেয়।’

৪০ বছরের কম বয়সীদের এখনো টিকা দেওয়া হয়নি বলে তারা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে জানান তিনি। এটাও করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ার পেছনে একটি কারণ হতে পারে বলে তিনি মনে করছেন। তাহমিনা শিরিন বলেন, ‘আমরা যদি তরুণদের চলাফেরার ওপর নিয়ন্ত্রণ আনতে না পারি, তাহলে বয়স্কদের মৃত্যুর হার কমানো যাবে না।’

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে