করোনার প্রথম ঢেউ মোটামোটি সামলে উঠার পর্যায়ে আবার দেশে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ঢেউ। করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রায় দেড় বছর হতে চলল। এই সময়ে অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানই তাদের কর্মী কমিয়েছে। স্বাভাবিকভাবে কমেছে তাদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি।
গত এপ্রিল থেকে সরকারি প্রতিষ্ঠানের নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিও খুবই কম। করোনার বিস্তার মোকাবেলায় সরকারের জারি করা বিধি-নিষেধের কারণে আটকে আছে একাধিক সরকারি নিয়োগ পরীক্ষাও। পরীক্ষা নিতে না পারায় বিসিএসেও জট লেগে আছে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পরীক্ষাগুলোও আটকে আছে। কিন্তু চাকরিতে প্রবেশের বয়স তো স্থির হয়ে নেই। এ কারণে চাকরিপ্রার্থী তরুণরা খুবই হতাশ ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত।
‘চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩২ চাই’ নামের একটি প্ল্যাটফর্মের কেন্দ্রীয় টিমের সদস্য তানভীর হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘করোনার প্রায় দেড় বছর হতে চলল। এই সময়ে মাত্র একটা বিসিএস পরীক্ষা হয়েছে। বড় চাকরির বিজ্ঞপ্তি নেই বললেই চলে। আমাদের হিসাবে, এই সময়ে প্রায় দেড় লাখ উচ্চশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থী তাঁদের বয়স হারিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে করোনাকালীন প্রণোদনা হিসেবে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩২ বছর করার দাবি জানাচ্ছি।’