ঈদ শেষে নির্বিঘ্নে কর্মস্থলে ফেরা, সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ, কর্মস্থলে ফেরার পথে মানুষের গাদাগাদি রোধ, পথে পথে যাত্রী হয়রানি ও ভাড়া নৈরাজ্য কমাতে বিধিনিষেধ শিথিলের মেয়াদ আরো ৪ দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
বুধবার (১৪ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই দাবি জানান।
তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির ঊর্ধ্বগতিতে ‘করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে জাতীয় কমিটির’ সদস্যরা যখন দেশে কারফিউ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ঠিক তখনই সরকার মানুষের জীবন ও জীবিকার কথা বিবেচনা করে আজ ১৪ জুলাই মধ্য রাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত মাত্র ৮ দিনের জন্য বিধিনিষেধ শিথিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে সকল শ্রেণীর গণপরিবহন চালুর করা হচ্ছে।
এতে করে রাজধানীসহ সারাদেশের মানুষ ৭ দিন যাবত পবিত্র ঈদুল আজহার উদযাপনের জন্য গ্রামের বাড়ি যাওয়ার সুযোগ পেলেন। অথচ আমাদের দেশে রাস্তা ও গণপরিবহন সংকটের কারণে ঈদুল আজহার পরের দিন ২২ জুলাই মাত্র একদিনে গ্রামের বাড়ি থেকে রাজধানীতে বা কর্মস্থলে পৌঁছানো সম্ভব নয়। তাই বিধিনিষেধ শিথিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে আগামী ২৬ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।
অন্যথায় ২২ জুলাই কর্মস্থলে ফেরার জন্য একদিনে সবাই রাস্তায় নামলে যানজট, জনজট, গণপরিবহন, ফেরিঘাট, টার্মিনালে মানুষের গাদাগাদিতে ভয়াবহ ভোগান্তির পাশাপাশি করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাবে। এতে করে গত ১৪ দিনে ব্যাপক ক্ষতির শিকার করে কঠোর লকডাউনের অর্জিত ফলাফল শূন্যের কোটায় পৌঁছাবে বলে মনে করেন তিনি।