সোমবার, ২৬ জুলাই, ২০২১, ১১:১৮:০০

তোলপাড় ফোনালাপ নিয়ে, এই বিষয়ে যা বললেন ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ

তোলপাড় ফোনালাপ নিয়ে, এই বিষয়ে যা বললেন ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ফোনালাপ ছড়িয়ে পড়েছে, যেটিকে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার (মুকুল) ও অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর মোবাইল কথোপকথনের অংশ বলে দাবি করা হচ্ছে। ওই ফোনালাপে অধ্যক্ষকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও হুমকি দিতে শোনা গেছে। যদিও ফাঁস হওয়া ফোনালাপকে ‘এডিট করা’ বলছেন অধ্যক্ষ কামরুন নাহার। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় চলছে।

৪ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের এই ফোনালাপ ফেসবুক-ইউটিউবসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ফোনালাপের এক পর্যায়ে অধ্যক্ষ কামরুন নাহার বলেন, ‘আমি বালিশের নিচে পিস্তল রাখি। কোনো ... বাচ্চা যদি আমার পেছনে লাগে আমি কিন্তু ওর পেছনে লাগব, আমি শুধু ভিকারুননিসা না আমি তাকে দেশছাড়া করব।’

এমন আরও কিছু বক্তব্য রয়েছে যা প্রকাশ যোগ্য নয়। এ নিয়ে ভিকারুননিসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিব্রতবোধের কথা জানাচ্ছেন। কেউ কেউ বলছেন, এই ফোনালাপে ভিকারুননিসার সুনাম ও ঐতিহ্য ক্ষুণ্ন হয়েছে।

জানতে চাইলে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক কামরুন নাহার জাগো নিউজকে বলেন, ‘গত সাত মাস আগে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক আমি এ প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করার পর থেকে অভিভাবক ফোরামের কয়েকজন দলবল নিয়ে এসে অনৈতিক সুবিধা দেয়ার প্রস্তাব দিয়ে আসছে। তাদের কথা না শুনলে আমি এখানে থাকতে পারবো না বলে হুমকি দেয়া হয়। দুইবার আমার অফিস রুমে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। রুমে প্রবেশ করে টেবিল চাপড়ে ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। এমনকি আমাকে মেরে ফেলার হুমকি পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে। তাতে আমি গুরুত্ব না দিয়ে নিয়মের মধ্যে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছি।’

‘এ বছর প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির লটারির সময়ও ১২০ সিট খালি রয়েছে। এছাড়া কিছু শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। সবমিলিয়ে প্রায় ১৫০-৬০ সিট খালি আছে। মূলত সেগুলোতে অবৈধ ভর্তি বাণিজ্য করতে অভিভাবক প্রতিনিধিরা আমাকে অনেক আগে থেকে চাপ দিচ্ছে। আমি তাদের কথা না শোনাই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা সুবিধাবাদি কিছু অভিভাবকদের নিয়ে আমাকে চেয়ার থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। যোগদানের দিনেও তারা আমাকে অফিস কক্ষে প্রবেশ করতে দেয়নি। পরে মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় দায়িত্বে বসি।’

ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ আরও বলেন, ‘সম্প্রতি একাদশ শ্রেণিতে একজনকে ভর্তির জন্য অভিভাবক মীর সাহাবুদ্দিন টিপু আমাকে চাপ দিয়ে আসছিলেন। তার কাজ করে না দেয়ায় আমার সঙ্গে তার ফোনালাপ এডিট করে যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়া হয়েছে।’

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে