দ্রুত গতিতে একের পর এক অ্যাম্বুলেন্স ছুটছে হাসপাতালের দিকে। নিরন্তর প্রচেষ্টা ভেতরে থাকা ছটফট করা অসহায় করোনা আক্রান্তকে বাঁচানো। এক একটা সাইরেন যেন হৃদয়ে আঘাত হানছে। শুধু যে রোগী বহন করতে হচ্ছে তা নয়, মরদেহ নিয়ে যেতে হচ্ছে দূর- দূরান্তে। চালক-সহকারীরা সাক্ষী হচ্ছেন হৃদয়ভাঙা সব ঘটনার।
মহানগরীতে এখন কান পাতলে নিয়মিত বিরতিতে অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন শুনতে পাওয়া যায়। আগে কখনো ঢাকার রাস্তায় এতো অ্যাম্বুলেন্স চলাচল দেখা গেছে কি না মনে পড়ে না নগরবাসীর।
ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের ভয়ানক বিস্তৃতিতে অ্যাম্বুলেন্সের বেশিরভাগই বহন করছে করোনা রোগীদের। জীবন- মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা রোগীদের নিয়ে এ হাসপাতাল- সে হাসপাতাল কখনও এক জেলা থেকে আরেক জেলায় ছুটোছুটি এই বাহনের।
এই ছুটোছুটিতে নাওয়া- খাওয়ার সময় নেই অ্যাম্বুলেন্স চালক আর সহকারীদের। সাক্ষি হতে হচ্ছে মর্মান্তিক সব ঘটনার। করোনার কাছে রোগীদের অসহায় আত্মসমর্পণ দেখতে হচ্ছে না চাইলেও।
জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা ও আইসিইউ না থাকায় অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকামুখী হচ্ছেন রোগীরা। ঢাকাতেও খুব একটা সুসংবাদ নেই। বেশিরভাগ সরকারী হাসপাতালের হাতে গোনা যে কয়েকটি আইসিইউ- তা রোগীতে পূর্ণ।
শুক্রবার পর্যন্ত সারাদেশে ১ হাজার ৩১৭টি আইসিইউ এর মধ্যে ফাঁকা ছিলো ১৮১ টি। প্রতিদিনই বাড়ছে আইসিইউর চাহিদা, কমে আসছে শূন্য থাকা সাধারণ শয্যার সংখ্যাও।