শুক্রবার, ০৬ আগস্ট, ২০২১, ০২:৫১:৪১

চার শিশুকে দেখতে ছুটে এলেন শত শত নারী-পুরুষ

চার শিশুকে দেখতে ছুটে এলেন শত শত নারী-পুরুষ

ঘটে গেল এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। আর এতে এতিম হলেন কয়েকজন শিশু। তাদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে এলাকার পরিবেশ। আমার আব্বা ও আম্মা কই? আমি আম্মুর কাছে যাব। আব্বুকে চকলেট আনতে কইব। নতুন জামা নিব। তোমরা ছাড়ো আমাকে। চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছে তিন বছরের শিশু তাজরিন খাতুন। গত বুধবার পদ্মা নদীর পাকা ইউনিয়নের দক্ষিণ পাকা ঘাটে বজ্রপাতে ১৫ জন নিহত হলেও মায়ের কোলে থাকা তিন বছরের শিশু তাজরিন বেঁচে গেছে। সে এখনো জানে না তার আব্বা ও আম্মা আর কোনোদিন ফিরে আসবে না।

তাজরিন হলো ঐ বজ্রপাতের ঘটনায় নারায়ণপুর ডাইলপাড়া গ্রামের নিহত সাদেকুল ইসলাম সাদেক ও টকিয়ারা বেগমের মেয়ে। তাজরিনের ফুপাতো ভাই সফিকুল ইসলাম জানান, বুধবারের ঘটনায় যখন নিহত ও আহতদের উদ্ধার কাজ চলছিল, তখন তাজরিন জীবিত অবস্থায় শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে তাকাচ্ছিল। আমরা তাকে জীবিত দেখে অবাক হয়েছিলাম এবং তাকে বুকে জড়িয়ে ধরেছিলাম।

সফিকুল ইসলাম আরো জানান, এ ঘটনায় তাজরিনের আব্বা সাদেকুল ইসলাম সাদেক, আম্মা টকিয়ারা বেগম, দাদা তোবজুল হক, দাদী জমিলা বেগম, ফুপু লেচন, ফুপাতো ভাই বাবলু ও চাচাতো ভাই বাবুলসহ পরিবারের সাত জন নিহত হয়েছে। আব্দুল বাসির তার যমজ ছেলেমেয়ে মবিন (৫) ও ময়নাকে (৫) সহোদর সাদেকুল ও তার স্ত্রী টকিয়ারাসহ সাত আত্মীয়ের সঙ্গে পাঠিয়েছিল বউভাতের দাওয়াত খেতে। সবাই নিহত হলেও মবিন ও ময়না বেঁচে গেছে অলৌকিকভাবে। এ ঘটনায় আরো এক অবুঝ শিশু জীবনে রক্ষা পেয়েছে। সে হচ্ছে নিহত লেচন বেগমের ছেলে হাবির (৫)। এ চার শিশুকে দেখতে এলাকার শত শত নারী-পুরুষ তাদের বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে