নিউজ ডেস্ক : জাতিসংঘে গরিব বিশ্বের মানুষের মৌলিক অধিকারের প্রশ্নে সোচ্চার হওয়ায় হয়তো অনেকের বিরাগভাজন হতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘মা-বাবা-ভাই-ভাবিসহ পরিবারের সকলকে হত্যা করার পর ১৯৮১ সালে যখন বাংলাদেশ ফিরেছি, তখন জীবন হাতে নিয়েই ফিরেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি জানি যে, ওরা আমাকেও সুযোগ পেলেই শেষ করে দেবে। ন্যায় আর সত্যের জন্যে যখন কথা বলবো স্বাভাবিকভাবেই জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হবে। সেজন্য সত্য বলবো না, ন্যায়সঙ্গত কথা বলবো না, এটা তো হয় না। তাই আমি বলে যাচ্ছি।' শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় লাগোয়ার্ডিয়া ম্যারিয়ট হোটেলের বলরুমে ভার্চুয়ালে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ প্রদত্ত ‘প্রবাসী নাগরিক সংবর্ধনা’ সমাবেশের পর উপস্থিত সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, 'অনেক হুমকি এসেছে, জেলেও যেতে হয়েছে, তবুও আমি থামিনি। করোনার ভ্যাকসিন অনেক দেশ পাচ্ছে না। সকলেরই অধিকার রয়েছে টিকা পাবার। তাই আমি ঝুঁকি নিয়েই টিকা সর্বজনীন করার কথা বলেছি। কাউকে না কাউকে তো ঝুঁকি নিতেই হবে। ঝুঁকি নিতে হবে তাদের জন্য, যারা অবহেলিত, শোষিত, বঞ্ছিত-অবশ্যই তাদের জন্যে কাউকে না কাউকে তো ঝুঁকি নিতেই হবে। আমার তো হারাবার কিছু নেই। সবইতো হারিয়েছি। সুতরাং চিন্তার কিছু নেই।’