হেলিকপ্টারে গ্রামের পথে আলতাফ মাহমুদের মরদেহ

ঢাকা : বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) আওয়ামী লীগ সমর্থিত অংশের সভাপতি আলতাফ মাহমুদের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা জাতীয় প্রেস ক্লাবে শেষ হয়েছে।

বাবার কবরের পাশে চিরসমাহিত করতে হেলিকপ্টারে করে তার লাশ গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপার ডাকুয়া ইউনিয়নের গাজীবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

আলতাফ মাহমুদের লাশের সঙ্গে আছেন তার স্ত্রী, মেয়ে, ছেলে ও ভাগিনা।

রবিবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন ৬২ বছর বয়সী আলতাফ মাহমুদ।

আজ রোববার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্বদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

তবে আলতাফ মাহমুদের মেয়ে আইরিন মাহমুদ জানান তার বাবা রবিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মারা যান।

আইরিন জানান, তার বাবাকে অস্ত্রোপচারের পর নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় শনিবার রাত ৩টার দিকে তাকে লাইফ সাপোর্ট রাখা হয়। রবিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তিনি মারা যান।
 
গত ১৪ জানুয়ারি ঘাড়ে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন আলতাফ মাহমুদ। স্পাইনাল কর্ডে সমস্যার কারণে তার দুই পা অবশ হওয়া ছাড়াও দুই হাতেও শক্তি পাচ্ছিলেন না।

বিএসএমএমইউ পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল মুজিব ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, অবস্থার অবনতি হলে স্নুায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়ার নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল ২১ জানুয়ারি সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত অস্ত্রোপাচারে অংশ নেন। অস্ত্রোপচার সফল হয়। তাঁর ডায়াবেটিকসসহ অন্যান্য রোগও ছিল। ডায়াবেটিকসের মাত্রা অনেক বেশি। হার্ট অ্যাটাক হলে তার মৃত্যু হয়।

বিএসএমএমইউ পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল মুজিব ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, অবস্থার অবনতি হলে স্নুায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়ার নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল ২১ জানুয়ারি সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত অস্ত্রোপাচারে অংশ নেন। অস্ত্রোপচার সফল হয়। তাঁর ডায়াবেটিকসসহ অন্যান্য রোগও ছিল। ডায়াবেটিকসের মাত্রা অনেক বেশি। হার্ট অ্যাটাক হলে তার মৃত্যু হয়।
 
সত্তরের দশকে সাংবাদিকতায় আসা আলতাফ মাহমুদ দীর্ঘদিন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে আওয়ামী লীগের বড় বড় সমাবেশের সংবাদ সংগ্রহ করেছেন।

বেলা সাড়ে ১১টায় মরহুম আলতাফ মাহমুদের লাশ প্রথমেঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার প্রথম নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়। এতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, এটিএন বাংলার এডিটর ইন চিফ ও সাংবাদিক নেতা মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, যমুনা টিভির হেড অব নিউজ জাকারিয়া কাজল, ডিউজের সাবেক সভাপতি আবদুল জলিল ভূইয়া, ডিআরইউর সভাপতি জামালউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ প্রমুখ। নামাজের পর তারা মরহুমের লাশে ফুল দিয়ে শেষশ্রদ্ধা জানান।

দুপুর সোয়া ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয় মরহুমের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা। এতে অংশ নেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, তথ্য সচিব গোলাম মর্তুজা, প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন।

আরও অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ, দৈনিক সমকাল সম্পাদক  গোলাম সারওয়ার, প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক শাহ আলমগীর, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের সভাপতি মোজাফ্ফর হোসেন পল্ট‍ু, দৈনিক মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, নিউজ টুডে সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শফিকুর রহমান, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব ওমর ফারুকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

নামাজে জানাজার পর মরহুমকে শেষবারের মতো দেখে নেন আগত শুভানুধ্যায়ী ও সহকর্মীরা। এসময় তাকে শেষশ্রদ্ধাও জানান তারা। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তার উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকনও ‍আলতাফ মাহমুদের মরদেহে শেষশ্রদ্ধা জানান।
২৩ জানুয়ারি ২০১৬/এমটি নিউজ২৪ডটকম/এসএম/ডিআরএ