রবিবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৬, ০৪:১২:০৯

‘বাবার মুখটা ঢেকে দিও না, বাবাকে আরেকটু দেখি’

‘বাবার মুখটা ঢেকে দিও না, বাবাকে আরেকটু দেখি’

নিউজ ডেস্ক : গত বছরের ঘটনা।কিন্তু আজো কী স্পষ্ট সেই অশ্রুমাখানো শোকের সময়টুকু!

এই দিনের ঠিক দুপুর ১টা ৪০ মিনিট। কফিন নিয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স এল বন্দী মায়ের অফিসে। খয়েরি রঙের কফিনে মোড়ানো কোকোকে নেওয়া হলো নিচতলার একটি ঘরে। কফিন খোলার পর একটি গিলাফ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হলো তাকে।

এরপর সন্তানের সঙ্গে মায়ের শেষ সাক্ষাত! ৩৪ বছর আগে স্বামীর শাহাদাতের পর পুত্রশোকে মূহ্যমান এক মা। কিভাবে দেখবেন তিনি প্রিয় সন্তানের মুখ, দেশের জন্য যাকে তিনি জালেমশাহীর হাতে তুলে দিয়েছিলেন!

মা-ছেলের শেষ দেখার ভার নিলেন কোকোর বিধবা স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি। এতিম দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে নিয়ে দোতলায় পুত্রশোকে কাতর খালেদা জিয়ার কাছে গেলেন।

কিছুক্ষণ পর দুই ভাইয়ের স্ত্রী নাসরিন সাঈদ ইস্কান্দার ও কানিজ ফাতেমা দুই পাশ থেকে ধরে অশ্রুসিক্ত খালেদা জিয়াকে নিয়ে নিচে নামেন। কান্না চেপে সঙ্গে নামেন কোকোর স্ত্রী-কন্যারাও।

যে ঘরে কোকোর লাশ রাখা হয়েছে সেখানে খালেদা জিয়া পৌঁছতেই উপস্থিত সবাই হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন। কিন্তু ছেলের কফিনের সামনে এসে নির্বাক দাঁড়িয়ে থাকলেন খালেদা জিয়া। যারা ডুকরে কাঁদছিলেন, তারাও মায়ের এই শোকাবহ নীরবতায় স্তব্ধ হয়ে গেলেন।

পিন পতন নীরবতার ভেঙে হঠাৎ গুমড়ে কেঁদে ওঠলেন খালেদা জিয়া। তার এই কান্না দেখে কেঁদে ওঠে দুই এতিম নাতনী জাফিয়া ও জাহিয়া। কাঁদেন কোকোর স্ত্রীও। বেদনাবিদূর এক পরিবেশ।

ছেলের শোকে কাতর এ খালেদা জিয়া সাবেক সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপতির স্ত্রী, গণতন্ত্রের জন্য নয় বছরের আপসহীন নেত্রী, তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নন। এ এক অন্য খালেদা জিয়া। দুই জন এতিমের নিরাপদ আশ্রয় এক বিধবা মা তিনি। যিনি দেশপ্রেমের রাজনীতির পরীক্ষা দিতে গিয়ে সন্তানকে রক্ষায় কিছুই করতে পারেননি। তাই সন্তানের নিথর দেহ দেখে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি।

কফিনের দিকে ঝুঁকে ছেলের মুখ দেখেন খালেদা জিয়া। সাদা কফিনে মোড়ানো সেই ছোট্ট কোকো। শান্ত ছেলের মতো শুয়ে আছে। মুখে দাঁড়ি। মা যখনই ছেলের দিকে তাকাচ্ছিলেন তখনই শিশুর মতো কাঁদছিলেন। মায়ের চোখ থেকে টপটপ করে অশ্রুর ফোটা পড়ে, কোকোর মুখ ভিজে যায়। ট্যিসু দিয়ে চোখে মুছেন। আবার ছেলের মুখ দেখেন, আবার কেঁদে ফেলেন। একবার মৃত সন্তানের দুই হাতে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন, আরেকবার দুই নাতনিকে জড়িয়ে ধরেন। এ সময় তাকে দুই পাশ থেকে ধরে রাখেন পুত্রবধূ সিঁথি এবং দুই ভ্রাতৃবধূ নাসরিন ও কানিজ।

সময় বয়ে যায়। ওদিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকারমে কোকোর নামাজে জানাজার অপেক্ষারত লাখ লাখ মানুষ। তাই সন্তানের সঙ্গে ইহকালের শেষ সাক্ষাতও সংক্ষিপ্ত করার তাড়া আসে। কফিনের পাশে বসেই ছেলের জন্য হাত তুলে মোনাজাত করেন। আল্লাহর কাছে সন্তানের রূহের মাগফেরাত কামনা করেন খালেদা জিয়া।

মোনাজাত শেষে খালেদা জিয়ার সামনেই কফিনটি ঢেকে দেওয়া হচ্ছিল। আর্তনাদ করে ওঠেন কোকোর মা। “আমার বাবার মুখটা ঢেকে দিও না, বাবাকে আরেকটু দেখি”। সকল বাঙালি মুসলিম নারীর মতোই খালেদা জিয়ার কণ্ঠে চিরকালীন হাহাকার- “কোকো রে শেষবার মা বলে ডাক”।

মৃত ছেলে আর মা ডাকতে পারে না। চির বিচ্ছেদের সুর বেজে ওঠে। অশ্রুসজল খালেদা জিয়া দাঁড়িয়ে থেকে দেখলেন, কফিনের পাল্লা ঢেকে দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হলো। অ্যাম্বুলেন্সটি ছুটে চলে জাতীয় মসজিদের দিকে। খালেদা জিয়াকে দুই পাশ থেকে ধরে দোতলায় নিয়ে যান তার দুই ভাইয়ের স্ত্রী। কাঁদতে কাঁদতে সঙ্গে যান স্বামীহারা সিঁথি, বাবাহারা জাফিয়া ও জাহিয়া।

কোকোর শৈশব
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো ১৯৭০ সালের ১২ আগস্ট কুমিল্লা সেনানিবাসে জন্মগ্রহণ করেন।

এর সাত মাস পর কোকোর বাবা জিয়াউর রহমান পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সাথে বিদ্রোহ করে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বেতারে প্রথম নিজের নামে, পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন।

অন্যদিকে মা খালেদা জিয়া বড় ছেলে তারেক ও সাত মাস বয়সী কোকোকে নিয়ে শুরু করলেন মুক্তির সংগ্রাম। প্রথম কিছুদিন চট্টগ্রামেই আত্মগোপন করে থাকলেন।

পরে ১৯৭১ সালের ১৬ মে নৌপথে নারায়ণগঞ্জ হয়ে খালেদা জিয়া দুই পুত্রসহ ঢাকায় চলে আসেন। বড় বোন খুরশীদ জাহানের বাসায় ১৭ জুন পর্যন্ত থাকেন সপরিবারে।

১৯৭১ সালের ২ জুলাই সিদ্ধেশ্বরীতে এস আব্দুল্লাহর বাসা থেকে পাকিস্তানী সেনারা দুই পুত্র- তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোসহ খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করে। পাঁচ মাস ধরে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে বন্দী ছিলেন তারা। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানীরা আত্মসমর্পণ করলে মা-ভাইসহ কোকোও মুক্তি পান।

১৯৮১ সালের ৩০ মে পিতা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একদল বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে শহীদ হবার পর মা খালেদা জিয়ার একক স্নেহ, ভালোবাসা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে বড় হয়ে উঠেন আরাফাত রহমান কোকো।

সাদামাটা জীবন
ছোটকাল থেকেই কোকো ছিলেন চুপচাপ স্বভাবের। মাঝেমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়তেন। এ কারণেই তার প্রতি বেশ মনযোগী ছিলেন মা।

আর বাবা শহীদ জিয়া সেনাকর্মকর্তা, রাজনীতিক, দেশের প্রেসিডেন্ট হলেও দুই ছেলে তারেক ও কোকোর উপর খেয়াল রাখতেন।

সততা নিষ্ঠা আর সাদামাটা জীবনে অভ্যস্ত করতেন বেশ কঠোরই ছিলেন বাবা। দেখা যেত বাবার শার্ট-প্যান্ট কেটে ছোট করে পরানো হচ্ছে তারেককে। আর তারেকের শার্ট-প্যান্ট ছোট করে পরতেন কোকো।

রাষ্ট্রপতির বাবা পরিচয়ে কোথাও বাড়তি সুবিধা নেওয়া, কারো সাথে দুর্ব্যবহার বা বিলাস করার বায়না ধরলে বাবার বকুনি আর শাসানি ছিল অনিবার্য।

তারেকের বয়স তখন ১৬ আর কোকোর ১১ বছর। ১৯৮১ সালের ৩০ মে বাবা জিয়াউর রহমান একদল বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে শহীদ হন। মা খালেদা জিয়া আর ভাই তারেকের স্নেহ ও ভালোবাসায় বেড়ে ওঠেন কোকো।

বাবাকে হারানোর পর ঢাকা সেনানিবাসের শহীদ মইনুল সড়কের বাড়িতে দুই ভাইয়ের জীবন অতটা নিরাপদ ছিল না। বাবাকে খুন করে স্বৈরাচারীরা নয় বছর দেশ শাসন করেছে। ফলে ভয়ে ভয়েই বড় হন তারা। একদিন তো মায়ের অনুপস্থিতিতে তারেককে গাছের ডাল দিয়েও পিটিয়েছিল এক সেনা কর্মকর্তা।

শহীদ জিয়ার রাজনীতির পথ ধরে খালেদা জিয়া বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অসামান্য লড়াই করেন। রাজপথে সংগ্রাম করতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, গ্রেপ্তারেরও শিকার হন তিনি। অনিশ্চয়তার মুখে ১৯৮৮ সালে কোকোকে অস্ট্রেলিয়া পড়তে পাঠান।

১৯৯০ সালে স্বৈরাচার এরশাদের পতন ঘটলে জনগণের ভোটে বাংলাদেশে প্রথম ও মুসলিম বিশ্বে দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী হন খালেদা জিয়া। এ সময় দেশে ফিরে আসেন কোকো।

মা প্রধানমন্ত্রী হলেও কোকোর মধ্যে বিশেষ পরিবর্তন আসেনি। প্রায় সময়েই তিনি বাকিতে মোটরসাইকেলের তেল কিনতেন। মাঝেমধ্যেই খেলনা আর চকলেট নিয়ে পথশিশুদের কাছে হাজির হতেন। তাদের সাথে ক্রিকেট খেলতেন।

পরে স্বজনদের পরামর্শে ব্যবসায় নামেন। বস্ত্র ও নৌ পরিবহন ব্যবসায় মনোনিবেশ করেন তিনি। তবে এ সময় মুখে লাজুক হাসি আর বিনয়ী স্বভাবের ব্যতিক্রম দেখা যায়নি তার মাঝে।

২০০৭ সালের জরুরি অবস্থার সময় খালেদা জিয়াকে নির্বাসনে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। তিনি রাজি হননি। ফলে কোকোসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কোকোকে বন্দী অবস্থায় নির্যাতন করা হয়।

পরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় থাইল্যান্ডে পাঠানো হয় তাকে। সেখান থেকে যান মালয়েশিায়। বিদেশেও তিনি খুবই সাদাসিধে জীবনযাপন করতেন। একটি দুই শয্যার বাসায় স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। নিজেই প্রতিদিন দুই মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যেতেন এবং নিয়ে আসতেন।

অনন্য ক্রীড়া সংগঠক
বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে কোকো অসামান্য অবদান রাখেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে ২০০৩ সালে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। সেই সাথে বিসিবির একজন সদস্যও ছিলেন তিনি।

বিসিবির ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্য যে কর্মসূচি শুরু করেছিলেন তিনি, বর্তমানে তার সুফল পাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। মিরপুরে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম রূপ দেওয়া হয়েছিল তারই উদ্যোগে।

বর্তমানে বাংলাদেশে ক্রিকেট বিশ্বে যে বাঘের গর্জন শোনায় তার পেছনেও বড় অবদান কোকোর। বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে এ ক্রিকেটপ্রেমী ছুটে বেড়িয়েছিলেন শহর থেকে গ্রামে। জাতীয় পর্যায়ে ক্রিকেট খেলোয়াড় তৈরি করার জন্য ক্রিকেটকে জেলা থেকে শুরু করে উপজেলা, গ্রাম পর্যায়ে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। আর এই চেষ্টার ফলে যে সকল ক্রিকেটাররা জাতীয় দলে আসছেন তাদের সামনে দাঁড়াতে পারছেন না বিশ্বের সেরা ক্রিকেটারদের অনেকেই।

তাছাড়া তিনি মোহামেডান ক্লাবের এক্সিকিউটিভ কমিটির সংস্কৃতি সম্পাদক ছিলেন।

বন্দী অবস্থায় নির্যাতিত
দেশের মানুষ রাজনীতির কারণে খালেদা জিয়ার পাশাপাশি তার জ্যেষ্ঠপুত্র তারেক রহমানের নাম জানলেও আরাফাত রহমান কোকোর নাম খুব বেশি জানতো না।

কোকোকে মানুষ জানতে পারলো ২০০৭ সালের জরুরি অবস্থার সময়। সেনাসমর্থিত মইন-ফখরুদ্দীন সরকার মা খালেদা জিয়ার সাথে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তাকেও গ্রেপ্তারের পর।

গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রচণ্ড নির্যাতন করে কোকোকে পঙ্গু করা হয়। নির্যাতনে কোকোর হৃদযন্ত্রে সমস্যা দেখা দেয়।

২০০৮ সালের ১৭ই জুলাই জামিনে মুক্তি পান কোকো। পরদিন স্ত্রী শর্মিলী রহমান ও দুই কন্যা জাফিয়া রহমান, জাহিয়া রহমানকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যান।

২০০৮ আর ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। ওই সরকারের সময়ে কোকোর বিরুদ্ধে একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে থাইল্যান্ড ছেড়ে মালয়েশিয়ায় গিয়ে সপরিবারে নির্বাসিত জীবন যাপন করতে শুরু করেন।

মালয়েশিয়াতেই অবস্থানকালে কোনো রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করেননি কোকো।

২০১২ সালে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া সিঙ্গাপুরে গেলে সেখানে মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় তার। সাত বছরের বেশি সময় বিদেশে চিকিৎসাধীন কোকো তার মায়ের সান্নিধ্য লাভের জন্য ব্যাকুল ছিলেন। কথা ছিল দেশের রাজনৈতিক সঙ্কট কেটে গেলে তিনি দেশে ফিরবেন।

কিন্তু সেই দিনটি এল দেশের রাজনীতির এক দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে এক বেদনা বিধুর শোকবার্তা নিয়ে।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের জন্য আন্দোলনের ডাক দিয়ে গুলশানের কার্যালয়ে ২০১৫ সালের ৩ জানুয়ারি রাত থেকে বন্দী হয়ে পড়েন খালেদা জিয়া।

একদিকে বিদেশে নির্বাসিত জীবনে নিজেই অসুস্থ, অন্যদিকে মা খালেদা জিয়া বন্দী। চরম দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন কোকো। প্রায় রাতেই মাকে ফোন করতেন। নিজের দুর্ভাবনার কথা জানাতেন। কিন্তু গত বছরের ২৪ জানুয়ারি নিজেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন কোকো।

মৃত্যু বার্ষিকীর কর্মসূচি
আরাফাত রহমান কোকোর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেশব্যাপী কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। রোববার দেশের সব জেলা ও মহানগরে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বাদ আছর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভাসানী মিলনায়তনে দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বিএনপি। এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন।

শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপির  যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সারা দেশে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মী, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের এসব দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় অংশ নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন।
২৪ জানুয়ারি ২০১৬/এমটি নিউজ২৪ডটকম/এসএম/ডিআরএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে