রবিবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৬, ০৭:৩৯:৪২

সোহেল তাজকে নিয়ে স্ট্যাটাসে হুলস্থূল

সোহেল তাজকে নিয়ে স্ট্যাটাসে হুলস্থূল

নিউজ ডেস্ক : সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজের দেশে ফেরা ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আবেগঘন সাক্ষাতের খবর এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হুলস্থূল।  অনেকেই স্ট্যাটাস দিচ্ছেন।  জানাচ্ছেন সোহেল তাজকে অভিনন্দন।  

শনিবার রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সোহেল তাজের সাক্ষাতের ঘটনা নানা গল্পের অবতারণা করেছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।  জন্ম দিয়েছে আওয়ামী লীগ রাজনীতিতেও নতুন মেরুকরণ।

সাক্ষাতের পরদিন রোববার এ নিয়ে বেশ সরব দেখা গেছে মন্ত্রণালয়, আওয়ামী লীগ কার্যালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে।  নানা ধরনের আলোচনায় মুখর ছিলেন নানাজন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী ও সোহেল তাজের আবেগঘন সাক্ষাতের ছবি পোস্ট করে শিরোনামে দিয়েছেন ‘মমতাময়ী মা’।

দেশে ফিরেই ২৩ জানুয়ারি শনিবার রাতে গণভবনে যান সোহেল তাজ।  দীর্ঘ দিন পর তাজকে কাছে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে বুকে টেনে নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  এসময় সোহেল তাজের সঙ্গে দুই বোন সিমিন হোসেন রিমি ও মাহজাবিন আহমেদ মিমিও ছিলেন।

পরে শেখ হাসিনার সঙ্গে সোহেল তাজের আবেগঘন সাক্ষাতের ছবি ফেসবুকে দেন মিমি।  ‘ব্রাদার অ্যান্ড সিস্টার রিইউনিয়ন!!!’ শিরোনামে প্রথম দফায় গণভবনে সাক্ষাতের চারটি ছবি দেন তিনি।  পরে গণভবনের আরো কয়েকটি ছবি ফেসবুকে দিয়েছেন মিমি।

সিডনি প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক ও ছড়াকার অজয় দাশগুপ্ত হাসিনা-তাজের ছবি দিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘পিতারাও বন্ধু ছিলেন।  তাঁদের সখ্যতা ছাড়া বাংলাদেশ হতো না।  একজন যখন উহ্য, ছায়া আরেকজন তখন সে ছায়ার তরবারি।  টিকলে এদেশ অন্যরকমের হতে পারত।  জামাত বা পাকিরা নয় মোশতাকরা হতে দেয়নি।  বছর বছর পর পিতাদের রক্তে স্নান করা এদের ও এক হতে দিতে চায় না সেও আরেক মোশতাকের দল।  ছবি বলছে মন ও হৃদয়ে তাঁরা একক।  মাতা-পিতাহীন উভয়ের ভালোবাসাও স্নেহের কাছে পরাজিত হোক অশুভ দানব।  এ ঐক্য দেশও রাজনীতির জন্য মঙ্গলের। বিশ্বাসঘাতকতাহীন রক্তের রাজনীতি পথ খুঁজে নিক।  ছবিটি হয়ে উঠুক প্রতীকী।’

পাভেল রহমান নামের আরেকজন ওই ছবিগুলো যুক্ত করে পোস্টে লিখেছেন, ‘দিনের সেরা ছবি’।  সাংবাদিক ফজলে এলাহী লিখেছেন, ‘অসাধারণ... সুন্দর দৃশ্য’।  

ফেসবুকে ভক্তদের শুভেচ্ছায় ভাসছেন দেশে ফেরা সোহেল তাজ।  কানাঘোষা শুরু হয়েছে, তিনি আবার মন্ত্রিসভায় যোগ দিচ্ছেন! স্নেহের পরশে প্রধানমন্ত্রী সোহেল তাজকে যেভাবে বুকে টেনে নিয়েছেন তা এমনটাই জানান দিচ্ছে, যা সবার নজর কেড়েছে।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে সোহেল তাজ বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।  গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসন থেকে তিনি এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।  

২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি মন্ত্রিসভায় সোহেল তাজকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়।  এর পাঁচ মাসের মাথায় ২০০৯ সালের ৩১ মে তিনি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন।  কিন্তু তখন তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিন বছর পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়ায় ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে একটি চিঠি দেন তিনি।  পাশাপাশি তিনি পদত্যাগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারিরও আবেদন জানান।  

সেই সময় থেকে তার ব্যক্তিগত হিসাবে পাঠানো বেতন-ভাতার যাবতীয় অর্থ ফেরত নেয়ারও অনুরোধ জানান।  এরপর ২০১২ সালের ২৩ এপ্রিলে সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন সোহেল তাজ।  এ আসনে এখন সংসদ সদস্য তার বোন সিমিন হোসেন রিমি।
২৪ জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে