কাজী শাহেদ : পৌর নির্বাচনে ভরাডুবির পর ইউপি নির্বাচনে ভালো ফলের টার্গেট করেছে রাজশাহীর বিএনপি। এ ক্ষেত্রে তারা জামায়াতকে পাশে চাইছে না। কারণ জামায়াতের জন্যই পৌর নির্বাচনে বিএনপিকে পস্তাতে হয়েছে বলে দলীয় সূত্রগুলো মনে করছে।
সূত্র জানায়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি যাতে ভালো ফল করতে পারে, সে জন্য নেতারা এখনই কাজ শুরু করেছেন। আগের অনেক নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট ভালো ফল করলেও আগামী নির্বাচনগুলোতে জামায়াতকে বাদ দিয়ে অংশ নিতেই দলের স্থানীয় নেতারা আগ্রহী।
এ প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন জানান, রাজশাহীতে বিএনপির আলাদা ভোটব্যাংক আছে। সরকারের দমননীতির মধ্যেও বিএনপির প্রার্থীরা নির্বাচনে ছিলেন। পৌর নির্বাচনে খারাপ ফল করলেও তারা চান আগামী নির্বাচনগুলোতে এককভাবে লড়াই করতে। কারণ এতে বিএনপির শক্তির একটা পরীক্ষা হয়ে যাবে, সংগঠন এককভাবে শক্তিশালী হবে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাও উজ্জীবিত হবেন।
তবে কেন্দ্রীয়ভাবে জোটবদ্ধ নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হলে কিছু করার নেই। জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তপু জানান, পৌর নির্বাচনে বিএনপি খারাপ করেছে বলা যাবে না। কারণ সরকার যেভাবে বিএনপির ওপর আগ্রাসী ছিল, তাতে মানুষ সঠিকভাবে ভোট দিতে পারেনি। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মানুষ সঠিকভাবে ভোট দিতে পারলে রাজশাহী অঞ্চলে বিএনপির প্রার্থীরা বিজয়ী হবেন।
তিনি বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে জোট করার পক্ষে আমি নই। তারা তাদের মতো ভোট করুক। বিএনপি তাদের মতো করবে। এতে বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি বাড়বে।’ বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, পৌর নির্বাচনে আঁতাত না করায় তিনটিতে প্রার্থী দেয় জামায়াত।
ওই তিনটিতে আগে বিএনপি-জামায়াতের প্রার্থীরা মেয়র থাকলেও এবার তারা বিজয়ী হতে পারেননি। ফলে আগামী নির্বাচনগুলোতে জোটবদ্ধ হয়ে পাশে থাকতে চেয়েছিল জামায়াত। জেলা ও নগর বিএনপির কয়েকজন শীর্ষ নেতা জামায়াতের এ প্রস্তাবে সাড়া দিলেও তৃণমূলের চাপে শেষ পর্যন্ত সরে এসেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা বিএনপির একজন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জানান, পৌর নির্বাচনের কয়েক দিন পরই জামায়াতের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে। তারা জোটবদ্ধভাবে লড়াইয়ের প্রস্তাব দেন। তবে বিএনপির উপজেলা পর্যায়ের অধিকাংশ নেতা এর বিরোধিতা করেন। -বিডি প্রতিদিন
২৫ জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ/এসএস/এসবি