এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে তাঁর সরকারের সদিচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভোট চুরির দুরভিসন্ধি থাকলে আমরা নতুন নির্বাচন কমিশন আইন কেন করলাম? খালেদা জিয়ার মতো ওই 'আজিজ মার্কা' নির্বাচন কমিশনই করতে পারতাম। সেটা আমরা করিনি। কারণ, জনগণের ওপর আমাদের আস্থা আছে, বিশ্বাস আছে। সেই বিশ্বাস নিয়েই আমরা চলি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সব বাধা মোকাবিলা করেই ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। আঘাত আসবে, ষড়যন্ত্র হবে। কিন্তু সেই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে নেতাকর্মীরা অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যাবে। অশুভ শক্তি যতই ষড়যন্ত্র করুক, বাঙালি এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ আর পিছিয়ে যাবে না, এগিয়ে যাবে। এই অগ্রযাত্রার পথে জাতির পিতার স্বপ্ন ইনশাআল্লাহ আমরা পূরণ করব।
গতকাল শনিবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। এই সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ছাড়াও অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বও করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনে ভোট চুরি করে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসেছিলেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ভোট চুরি করলে জনগণ ছেড়ে দেয় না, বিএনপিকেও ছাড়েনি। জনগণই তাদের ক্ষমতা থেকে টেনে নামায়। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে হাত দেয়।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচন থেকে পরপর তিনবার ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে পৃথিবীর মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তব।