এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : আবহাওয়া অধিদপ্তর ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ঘোষণার পর চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব সর্বোচ্চ অ্যালার্ট ৮ জারি করেছে। একই সঙ্গে বন্দরের সব ধরনের অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
শুক্রবার রাত ১১টার দিকে এই অ্যালার্ট জারি ও অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম বন্দরে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নতুন করে কোনো জাহাজ থেকে পণ্য খালাস হবে না। পাশপাশি ভোর ৪টার জোয়ারের সময়ে জেটিতে থাকা সব জাহাজকে বহির্নোঙরে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, যেসব জাহাজে পণ্য খালাস অর্ধেক পর্যায়ে রয়েছে রাতে সেসব খালাস হবে, যেহেতু বাতাসের গতিবেগ এখনো হালকা। তবে নতুন করে কোনো জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বন্ধ হবে না। সে কারণে অপারেশন কার্যক্রম বন্ধ বলা যেতে পারে।
চট্টগ্রাম বন্দরে অবস্থানরত সব ধরনের লাইটার জাহাজ ও ছোট ছোট নৌযানকে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে। বন্দর জেটিতে পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের জন্য যেসব ভারি যন্ত্রপাতি বা ইকুইপমেন্ট রয়েছে, সেগুলোকেও শক্ত করে বেঁধে রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
রাতে এ রিপোর্ট লেখার সময়ও বন্দরের পদস্থ কর্মকর্তারা ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণে বৈঠক করছিলেন। বন্দর কর্তৃপক্ষ ২৪ ঘণ্টা নিয়ন্ত্রণ কক্ষও খুলেছে। ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বন্দর কর্তৃপক্ষ চারটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষগুলো ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে।