শনিবার, ১৩ মে, ২০২৩, ০৩:২৭:৩৫

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’; দেশবাসীর জন্য দোয়া কামনা

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’; দেশবাসীর জন্য দোয়া কামনা

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বঙ্গোপসাগরের অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উপকূলের দিকে ঘণ্টায় ৮ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে। উপকূলের ৪০০ কিলোমিটারের ভেতরে এলে ঘূর্ণিঝড় মোখার গতি বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। 

শনিবার (১৩ মে) সকালে ঘূর্ণিঝড় মোখার সর্বশেষ অবস্থা জানাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান উপপরিচালক মো. আসাদুর রহমান।

ঢাকায় কেমন প্রভাব পড়বে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা যে ঢাকায় নেই তেমন না, তবে তুলনামূলক কম থাকবে। বেশি আছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায়। তার একটা অংশ সিলেট অঞ্চলের দিকেও চলে আসতে পারে। ঝড়টি সিডরের মতোই শক্তিশালী হবে। যতক্ষণ সাগরে থাকবে ততক্ষণ শক্তি সঞ্চয় করতে থাকবে।

তিনি আরও বলেন, রাজধানীবাসী অবশ্যই দেশবাসীর জন্য দোয়া করবেন এবং সতর্ক থাকবেন। উপকূলীয় এলাকায় যাদের আত্মীয় স্বজন আছে তাদের খোজঁ খবর রাখবেন।

আসাদুর রহমান বলেন, ‘চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকা এবং চরাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতির প্রভাব থাকবে। তবে মূল ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে। এটি অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়, যার ডায়ামিটার ৫০০ থেকে সাড়ে ৫০০ কিলোমিটার। এর অধিকাংশ অংশ কক্সবাজার, উখিয়া ও সেন্ট মার্টিন আর বাকি অংশ মিয়ানমারের উত্তরাংশ (সিটওয়ে) পাবে। এটি যখন তীরে চলে যাবে তখন ক্লাউড মাস্ক ছড়িয়ে সিলেট পর্যন্ত এর প্রভাব থাকবে।

তিনি বলেন, সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, এটি উপকূল থেকে গড়ে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দূরে আছে, ৪০০ কিলোমিটারের ভেতরে এলে এর গতি বেড়ে যাবে। তখন ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার গতিতে এগোবে। বাতাসের গতিবেগ আমরা ধরে নিচ্ছি ১৬০ থেকে ১৭৫ কিলোমিটার হবে। ঝড়টি আরও গতি সঞ্চার করার সম্ভাবনা রয়েছে।

উপকূলীয় এলাকায় রাত থেকেই মোখার প্রভাব পড়বে জানিয়ে তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব, ঝড়ো হাওয়া, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আজ রাত থেকেই শুরু হবে। কাল সকাল থেকে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার পরিমাণ বাড়বে। পুরো ঝড় পার হতে সন্ধ্যায় পার হয়ে যাবে।

আসাদুর রহমান আরও বলেন, পাহাড় ধসের আশঙ্কা আছে। একটানা আট ঘণ্টার বেশি প্রবল বৃষ্টি হলে পাহাড় ধসের আশঙ্কা থাকে। প্রবল বৃষ্টিপাত হতে পারে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে। সিলেটেও প্রভাব থাকবে। ঢাকায় বৃষ্টি কম হবে। ঝড়ের কেন্দ্রে সাধারণত ১০ নম্বর সংকেত থাকে। বাম পাশে ৮ নম্বর ও ৯ নম্বর সংকেত থাকে। ডান পাশটা মিয়ানমারে পড়ে গেছে। ওভার হেড কক্সবাজার। বাম পাশে চট্টগ্রাম আছে। আরও বামে পায়রা ও মোংলা বন্দর আছে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে