এমটিনিউজ ডেস্ক : যশোরে বাসচাপায় সাতজন নিহতের ঘটনায় বাসচালক মিজানুর রহমান (৪০) আত্মসমর্পণ করেছেন। শনিবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে যশোর জেলা পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের মধ্যস্থতায় তিনি যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় আত্মসর্পণ করেন। বাসচালক মিজানুর বাঘারপাড়া উপজেলার পাঠান পাইকপাড়ার নজরুল শেখের ছেলে।
শনিবার রাতে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) বেলার হোসাইন বলেন, ঘটনার পর রয়েল পরিবহনের বাসটি জব্দ করি। সেইসঙ্গে বাসচালককে আটকের চেষ্টা করি। যশোরের পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে চালককে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। আমরা এই দুর্ঘটনা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়েছি। রোববার আদালতে পাঠানো হবে।
এদিকে, দুর্ঘটনা কীভাবে ঘটেছিলো জানতে চাইলে বাসচালক মিজানুর বলেন, এই দুর্ঘটনা আমি ইচ্ছা করে ঘটাইনি। হঠাৎ করেই ইজিবাইকটি আমার গাড়ির সামনে চলে আসে। সেটি দেখে দ্রুত ব্রেক মারি। দ্রুত ব্রেক করার কারণে গাড়ির ব্রেক মেশিন ভেঙে যায়। গাড়ির যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারি না। ফলে ইজিবাইকটিতে ধাক্কা লাগে।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পরে আমি বাস থেকে নেমে পালিয়ে যাওয়া টেষ্টা করি। এসময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী আটক করে রাখে। পরে সেই বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ৫০ হাজার টাকা দিলে ছেড়ে দেবে এমন প্রতিশ্রুতিতে রাজি হয়ে পালিয়ে যাই। ঘটনার পর থেকে আমি যশোরসহ বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে ছিলাম। এই ঘটনায় আমি অনুতপ্ত ও ক্ষমা চাচ্ছি। কোনো চালকই ইচ্ছা করে কোনো প্রাণ কেড়ে নেয় না।
আত্মসমর্পণকালে জেলা বাস মালিক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি সরোয়ার হোসেন, জেলা পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা মিঠুসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় যশোর সদর উপজেলার তেঁতুলতলা বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে তিন শিশু, নারীসহ সাতজন নিহত হন। এর মধ্যে একই পরিবারে পাঁচজন। দুর্ঘটনায় আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন দুইজন।