এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : মেট্রোরেলের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ২০০ জন কর্মী চাকরি ছেড়েছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ। তিনি বলেছেন, এটি আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। আমরা একজন তৈরি করলাম, তারপরে তিনি আবার চলে গেলেন। এতে করে আমরা হুট করে নতুন লোক পাচ্ছি না।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) উত্তরায় মেট্রোরেলের ডিপোতে রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোডের (আরআরআর) সদস্যদের সঙ্গে এক মতবিনিময়ে সভায় এ কথা জানান তিনি।
মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, আমাদের ১৯১৯ জন ম্যানপাওয়ারের একটি অর্গানোগ্রাম তৈরি করা ছিল। আমাদের এখন ম্যানপাওয়ার বাড়াতে হচ্ছে। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া আছে। এটা নিয়ে মন্ত্রণালয় একটি কমিটিও হয়েছিল। সার্ভিস রুলসহ অর্গানোগ্রাম এখন ফাইনাল স্টেজে আছে। আমাদের ধারণা এটি ২ হাজার পার করবে। ২ হাজার ৪০০-৫০০ হতে পারে। ফাইনাল না হওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, ১৯১৯ জনের মধ্যে এখন অন বোর্ড আছে ১৩৭৯ জন। এর মধ্যে ৭৫১জন আমাদের রেগুলার আর ৬২৮ জন হচ্ছে আউটসোর্সিং এমপ্লয়ি। এখন পর্যন্ত প্রায় চাকরি ছেড়েছেন ২০০ জন। গত কয়েক দিনের মধ্যেই গেছে ৫০ জন। এটা আমাদের জন্য একটা ফ্যাক্ট।
আন্ডারগ্রাউন্ড লাইনের বিষয়ে তিনি বলেন, আন্ডারগ্রাউন্ড কাজের জন্য সবার আগে ইউটিলিটিগুলো সরাতে হবে। বিমানবন্দর এলাকায় ইউটিলিটি সরানোর কাজ শেষ। এরপর গুলশান এলাকায় শুরু হবে। এ পুরো রাস্তাটি তো গুরুত্বপূর্ণ এটি একটির সঙ্গে আরেকটি রিলেটেড। আমি একটি কাজ শেষ করার আগে তো আর আরেকটি কাজ ধরতে পারবো না, কাজ চলছে। এটি সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাদের যেহেতু দক্ষতা আছে এবং তাদের ড্রেসের একটা ভ্যালু আছে। তারা দ্রুত কাজটি করতে পারবেন। এটার জন্য আমরা দফায় দফায় মিটিং করছি।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিএমটিসিএলের পরিচালক (অপারেশন এন্ড মেইন্টেন্যান্স) নাসির উদ্দিন আহমেদ, পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মো. আফতাবুজ্জামান, মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) মোহাম্মদ ইফতিখার হোসেন, রিপোর্টাস ফর রেল অ্যান্ড রোডের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. তাওহীদুল ইসলাম, সহসভাপতি পার্থ সারথি দাস এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য মুনিমা সুলতানা। এসময় রিপোর্টাস ফর রেল অ্যান্ড রোডের প্রায় সব সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মেট্রোরেলের বিভিন্ন লাইনের প্রকল্প পরিচালকরা।