নিউজ ডেস্ক : দেশের উন্নয়নে নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করতে প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে বিদ্যুৎ, আবাসন ও নদী-নালা নিয়ে প্রকৌশলীদের সামনে বেশকিছু পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন তিনি।
শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-আইইবি’র ৫৬তম কনভেনশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। কথা বলেন নদীমাতৃক বাংলাদেশের রুপরেখা নিয়েও।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রকৌশলীদের দক্ষতা ও আন্তরিকতার ওপরে দেশের উন্নয়ন নির্ভর করে। দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে তাদের মেধা-দক্ষতাকে কাজে লাগাতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রকৌশলীরা সংসদ, ক্যাবিনেট ও উপদেষ্টা পদসহ কোথায় না আছে? সব জায়গায় আমরা তাদের রেখেছি। তাদের পদমর্যাদা দিতে কার্পণ্য করিনি। এতে একটা বিষয় ভালো হয়েছে, বিপদে পড়লে তাদের দ্বারস্থ হওয়া যায়। কাজ করতে সুবিধা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে আমরা আরো উন্নত করতে চাই, সমৃদ্ধ করতে চাই। আর দেশের এ উন্নয়নের জন্য তিনি প্রকৌশলীদের মেধা-দক্ষতাকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আমাদের প্রতিটি অর্জনের পেছনে রয়েছে ত্যাগ। এ ত্যাগকে শ্রদ্ধা জানাই। দেশের সমৃদ্ধিতে এ ত্যাগের ইতিহাস আমাদের পথ দেখাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা উন্নত-সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়বো। অবহেলিত মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে আমরা কাজ করছি। উন্নত-সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে যা কিছু করা দরকার, সরকার তা করবে।
প্রধানমন্ত্রী এসময় তার নিজের এলাকার জন্য বেশি বেশি প্রকল্প বাস্তবায়ন ও কাজ করার প্রবণতা কমানোর আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, সব উপজেলাকে সমান গুরুত্ব দিয়ে পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিনি বলেন, সবাই দাবি করেন। আমারও কিছু দাবি আছে। দেশের জন্য কাজ করুন।
বেশি খরচে অপ্রয়োজনীয় কাজ করা হচ্ছে বলে আক্ষেপ করে কম খরচে প্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নেরও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। খরচ বাড়ানোর পরিকল্পনা না করে কমানোর পরিকল্পনা করতে বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদের এক নম্বর সদস্য। তাছাড়া আমি একজন এমপিও। তাই নিজের এলাকায় আমার দায়িত্ব আমি পালন করি। সেখানে আমাকে খুশি করতে আলাদা করে কোনো প্রকল্প নেওয়ার দরকার নেই।
তিনি বলেন, এক সময় সবদিক দিয়ে বঞ্চিত ছিলাম। এখন সবাই দেওয়ার জন্য ব্যস্ত থাকেন। এখন তাই পাওয়ার যন্ত্রণায় আছি। প্রধানমন্ত্রীর এলাকা বলে সবকিছু দিতে হবে, এ ‘আদিখ্যেতা’ বন্ধ করতে হবে।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস