এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায় এ বছর আমন ধানের বাম্পার ফলনে খুশি কৃষকরা। কিন্তু হঠাৎ আবহাওয়া অফিসের দুঃসংবাদে আতঙ্ক বিরাজ করছে কৃষকদের মাঝে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট হওয়া নিম্নচাপ রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ধান কাটা, মাড়াই দেওয়া এবং ধান ঘরে তোলা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার হাজারো কৃষক।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, ধান কাটতে খুবই ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। কেউ কাটাচ্ছেন মেশিনের মাধ্যমে কেউ আবার কাটাচ্ছেন মানুষ দিয়ে।
অনেকে আবার খেতে বসেই বিক্রি করে দিচ্ছেন ধান। ধান কাটার এত তাড়াহুড়ো সবই সমুদ্রে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপকে কেন্দ্র করে।
উপজেলার কুয়াকাটা এলাকার কৃষক হাফিজ সিকদার বলেন, ১৭ নভেম্বর ঘুর্ণিঝড় মিধিলিতে খেতের অনেক ধান নষ্ট হয়ে গেছে। তাই এখন খেতে যা আছে তা লোকজন দিয়ে কাটায়ে নিচ্ছি। কাটা হয়ে গেলে সব বিক্রি করে দেব। আবহাওয়া খারাপ হওয়ার আগে বিক্রি করতে না পারলে পুরো চালানসহ ক্ষতি হয়ে যাবে।
একই চিত্র দেখা গেছে উপজেলার, লতাচাপলী, মহিপুর, নীলগঞ্জ, ধুলাসর, ধানখালী, চম্পাপুর, টিয়াখালী, ডালবুগঞ্জসহ পুরো উপকূলে। ধান কাটা, মাড়াই করা এমনকি বেচা-বিক্রিও শুরু হয়ে গেছে ইতোমধ্যে। এই পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই রয়েছেন নিম্নচাপ আতঙ্কে,এমনটাই বলছিলেন কৃষকরা।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে।
এটি পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও আরও ঘনীভূত হতে পারে। তিনি আরও বলেন, নভেম্বর মাস সাইক্লোন প্রবণ মাস। জলবায়ুগত কারণে এই লঘুচাপ ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমে রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার এ আর এম সাইফুল্লাহ বলেন, ইতোমধ্যে পুরো উপজেলায় ধানকাটা শুরু হয়ে গেছে। আমরা আবহাওয়া অফিসের সতর্ক বার্তা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি ধান কেটে ঘরে নেওয়ার জন্য। তবে এখনো অনেক জায়গায় ধান পুরোপুরি পাকেনি।
তবে আবহাওয়া খারাপ হলে এই সময় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে কৃষকদের। তাই পুরো উপজেলায় কৃষকরা ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।