সোমবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ০৪:১৮:০৩

কথা নয়, ফাইল ফেরত চান প্রধান বিচারপতি

কথা নয়, ফাইল ফেরত চান প্রধান বিচারপতি

নিউজ ডেস্ক : গণমাধ্যমে কথা না বলে অনিষ্পন্ন সব রায়ের ফাইল অতি সত্বর বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ফেরত দেবেন, সেই প্রত্যাশা করেছেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা।

অবসরের পর রায় লেখা নিয়ে বিতর্কের মধ্যে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী রোববার সাংবাদিকদের কাছে নিজের বক্তব্য দেয়ার পর সুপ্রিমকোর্টের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রধান বিচারপতির এই প্রত্যাশার কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, 'প্রধান বিচারপতি আশা করেন যে সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মিডিয়াতে মামলার রায় ও আদেশ সংক্রান্ত কোনোরূপ বক্তব্য না দিয়ে তার নিকট যতগুলো অনিষ্পত্তিকৃত রায়ের মামলার ফাইল রয়েছে, তা সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল অফিসে অতি সত্বর ফেরত প্রদান করবেন, যাতে বিচারপ্রার্থীদের আর ভোগান্তি না হয়।'

বিচারকাজ চলাকালীন সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর 'প্রেস কনফারেন্স' প্রধান বিচারপতির গোচরীভূত হওয়ার পর সুপ্রিমকোর্টের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার জেনারেল আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন স্বাক্ষরিত এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আসে।

এতে বলা হয়, 'সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে এ ধরনের প্রেস কনফারেন্স নজিরবিহীন। মাননীয় প্রধান বিচারপতি আশা করেন, বর্তমান ও ভবিষ্যতে মাননীয় বিচারপতিরা কোর্টের পবিত্রতা ও মর্যাদা বজায় রাখার স্বার্থে এরূপ কার্য থেকে বিরত থাকবেন।'

অবসরের পর বিচারকদের রায় লেখা 'সংবিধানবিরোধী' বলে সম্প্রতি প্রধান বিচারপতির বক্তব্য আসার পর তা নিয়ে আলোচনা চলছে, যা রাজনৈতিক মহলেও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

চার মাস আগে আপিল বিভাগ থেকে অবসরে যাওয়া বিচারক শামসুদ্দিন চৌধুরী বুধবার সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের বলেন, অবসরে যাওয়ার পর লেখা রায় ও আদেশ গ্রহণ করতে প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি।

বিচারপতি শামসুদ্দিন বলেন, অবসরের পর তিনি তার হাতে থাকা মামলার রায় লেখা শেষ করে জমা দিতে গিয়েছিলেন, কিন্তু তা নেয়া হয়নি।

'শেষ হয়ে যাওয়ার পর আমার যে প্রিজাইডিং বিচারপতি (বেঞ্চের নেতৃত্বদানকারী বিচারপতি) আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, তার কাছে আমি গেলাম।'

'উনি স্বভাবতই অপারগতা প্রকাশ করেছেন। উনার এ ছাড়া কিছু করার ছিল না। উনি বলেছেন, 'দেখেন যেহেতু প্রধান বিচারপতি বলেছেন, যে অবসরে যাওয়া বিচারপতিগণ আর রায় লিখতে পারবেন না, আর সই করতে পারবেন না_ এ অবস্থান থেকে তো উনি সরে যাননি। উনি এখনো ওই অবস্থানে আছেন, সুতরাং আপনার রায় আমি কীভাবে গ্রহণ করি?'

শামসুদ্দিন চৌধুরীর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিমকোর্টের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'এই বক্তব্য মাননীয় প্রধান বিচারপতির গোচরে এলে প্রধান বিচারপতি সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারক বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি মাননীয় প্রধান বিচারপতিকে অবহিত করেন যে সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী তার কাছে লিখিত রায় কিংবা আদেশ গ্রহণ করার জন্য জমা দেননি।' -যায়যায়দিন
৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে