সোমবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ১১:৩৩:২৩

সেই মোতাহার ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

সেই মোতাহার ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

নিউজ ডেস্ক : কেরানীগঞ্জে শিশু আবদুল্লাহ হত্যার প্রধান আসামি মোতাহার সোমবার ভোরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। র‌্যাব-১০ এর সিও অতিরিক্ত ডিআইজি জাহাঙ্গীর হোসেন মাতব্বর জানান, কেরানীগঞ্জের ইটাখোলা এলাকায় ভোর ৪টার দিকে র‌্যাব ১০-এর একটি টহলদল দুইটি মোটরসাইকেল দেখতে পায়। এ সময় র‌্যাবের দলটি মোটরসাইকেল দুইটি থামাতে সিগন্যাল দেয়।

কিন্তু মোটরসাইকেল দুটি না থামিয়ে সামনের মোটরসাইকেল থেকে র‌্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। প্রচণ্ড কুয়াশার মধ্যে র‌্যাবও আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি চালায়। গুলিবিনিময়কালে পেছনে থাকা মোটরসাইকেলটি পালিয়ে যায়।

আর সামনের মোটরসাইকেলের দুইজনের মধ্যে একজন মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে একজনকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে র‌্যাব সদস্যরা। এ সময় তাকে উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভোর ৫টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরো জানান, নিহত ব্যক্তির পকেটে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্রে দেখা যায় তার নাম মোতাহার। পরে র‌্যাব অনুসন্ধানে জানতে পারে এই মোতাহার কেরানীগঞ্জের শিশু আবদুল্লাহ হত্যা মামলার প্রাধান আসামি।

গত মঙ্গলবার কেরানীগঞ্জের রোহিতপুর ইউনিয়নের মুগারচরের বাড়ির ১০০ গজ পশ্চিমে মোতাহার হোসেনের বাড়ির একটি কক্ষ থেকে প্লাস্টিকের ড্রামে ভরা আবদুল্লাহর গলিত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মোতাহার আবদুল্লাহর মায়ের আপন বড় মামা। পরে এই ঘটনায় মোতাহারকে প্রধান আসামি করে মামলা করা হয়। ঘটনার পর থেকে মোতাহার পলাতক ছিল।

আবদুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর তার বাবা অভিযোগ করেছিলেন, মোতাহারের বাড়িতে জাল টাকা তৈরির কারখানা দেখে ফেলায় আব্দুল্লাহকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন এবং মোতাহার হোসেনের বাড়ি আগুনে জ্বালিয়ে দেয়।

এর আগে আবদুল্লাহ হত্যা মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল রবিবার গ্রেপ্তারকৃতদের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়। এর মধ্যে মোতাহার হোসেনের ছেলে মেহেদি এবং হত্যায় সহায়তাকারী খোরশেদ আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।

গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র মো. আবদুল্লাহ (১১) নিখোঁজ ছিল। এক পর্যায়ে মোবাইল ফোনে তাকে অপহরণের দাবি করে এবং দুই দফায় দুই লাখ টাকা নেয় অপহরণকারীরা। এরপরও শিশুটিকে ফেরত দেয়নি তারা।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে