ঢাকা : মালয়েশিয়া ১৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মী পাঠাবে সরকার। মালয়েশিয়া সরকারী-বেসরকারী উদ্যোগে অর্থাৎ ‘জি টু জি প্লাস’ প্রক্রিয়ায় এ কর্মী পাঠানো হবে।
এ লক্ষ্যে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা স্মারকের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
জানা গেছে, ৩৪ থেকে ৩৭ হাজার টাকার মধ্যে হবে অভিবাসন ব্যয়। আর এ ব্যয়ের সবটুকু বহন করবে কর্মী নিয়োগকারী (সংশ্লিষ্ট কোম্পানির মালিক)। এছাড়া মালয়েশিয়ায় কর্মীদের বেতন পরিশোধ হবে ব্যংকের মাধ্যমে।
এর আগে জি টু জি (সরকার টু সরকার) প্রক্রিয়ায় কর্মী পাঠানোর প্রচেষ্টা সফল না হওয়ায় জি টু জি ‘প্লাস’ প্রক্রিয়ায় নতুনভাবে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এর মাধ্যমে সরকারের সঙ্গে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পাবে। জি টু জি প্রক্রিয়ায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর এ ধরণের সুযোগ ছিল না।
আগামী এক মাসের মধ্যেই কর্মী প্রেরণ শুরু করা যাবে বলে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
এদিকে এই সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে মালয়েশিয়ার ২০১২ সালের সমঝোতা স্মারক এবং ২০১৪ সালের স্মারক বাতিল হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
মন্ত্রি পরিষদ সচিব শফিউল আলম জানান, এ সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী অভিবাসন কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার ‘সোর্স কান্টি’ হিসেবে মর্যাদা পাবে।
তিনি জানান, এর আগে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া কর্মীরা শুধু ‘প্ল্যান্টেশন’ (বৃক্ষরোপন) খাতে কাজ করতে পারতেন। নতুন সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী বাংলাদেশি কর্মীরা সেবা খাত, ম্যানুফেকচারিং এবং নির্মাণ খাতে কাজ করতে পারবে।
এছাড়াও এই নতুন সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, বাংলাদেশের নারীরাও মালয়েশিয়ায় কাজ করতে যেতে পারবেন।
সচিব জানিয়েছেন, কর্মী নিয়োগের জন্য মালয়েশিয়া থেকে চাহিদা আসবে। তার প্রেক্ষিতে বিএমইটি’র তথ্য ভাণ্ডারে নিবন্ধিতদের থেকে আগ্রহীদের মালয়েশিয়ায় পাঠানো হবে।
অভিবাসন ব্যয়ের সবটুকু নিয়োগকর্তা বহন করলেও প্রাথমিক কিছু খরচ অভিবাসন প্রত্যাশীকে বহন করতে হবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন