সোমবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ০৪:২৭:০৪

প্রধান বিচারপতি খালেদার এজেন্ট : অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মানিক

প্রধান বিচারপতি খালেদার এজেন্ট : অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মানিক

ঢাকা : প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বিএনপি ও বেগম খালেদা জিয়ার এজেন্ট হয়ে কাজ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।  অবিলম্বে উনার পদত্যাগ করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন।

সোমবার দুপুরে সুপ্রিমকোর্টের বাইরে মাজার গেট সংলগ্ন বটতলায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবের একপর্যায়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।

শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, গতকাল রোববার সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার অফিস থেকে আমার বিষয়ে যে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে তা বিভ্রান্তিকর। এতে আমার বক্তব্যকে টুইস্ট করা হয়েছে।  গতকাল আমি সংবাদ সম্মেলন করিনি।

তবে অনেক নতুন তথ্য নিয়ে সামনে সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানান তিনি।

বার সভাপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল এবং প্রধান বিচারপতির মতে আপনার সাম্প্রতিক কার্যক্রমে বিচারবিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেখেন, চিফ জাস্টিসতো নিজেই বলেছেন, তিনি শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন এবং সাকা চৌধুরীর পরিবারের সঙ্গে মিটিং করেছেন।  এতে করে কি বিচার বিভাগের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে না?

গত ৭ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিমকোর্টের বিচারকাজ চলাকালীন কোর্ট প্রাঙ্গণে অবসরপ্রাপ্ত বিচারতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী একটি প্রেস কনফারেন্স করেন।  সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে এ ধরনের প্রেস কনফারেন্স নজিরবিহীন।  এসময় তিনি অভিযোগ করেন, সমাপ্ত হওয়া রায় ও আদেশগুলো গ্রহণ করা হচ্ছে না।

এরপর এক বিজ্ঞপ্তিতে সুপ্রিমকোর্ট বলেন, ওই বক্তব্য প্রধান বিচারপতির গোচরে এলে প্রধান বিচারপতি সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারক বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রধান বিচারপতিকে অবহিত করেন যে, সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী তার কাছে লিখিত রায় কিংবা আদেশ গ্রহণ করার জন্য জমা দেননি।

সেই দিনই সকালে আপিল বিভাগের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক অবসরের পর তার লেখা পূর্ণাঙ্গ রায় ও আদেশ গ্রহণ করতে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেন।

এর পরিপ্রেক্ষিতেই প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বিচারপতি মানিকের তিক্ততার বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে।

এর আগে গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘন, শপথ ভঙ্গ ও অসদাচরণের অভিযোগ এনে তার অভিসংশন চেয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে চিঠি লিখেন শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।  তবে আপিল বিভাগ কোনো চিঠি পায়নি বলে জানানো হয়।
৮ ফেব্রুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে