এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : কয়েকদিন ধরেই দেশজুড়ে জেঁকে রয়েছে শীত। দু-এক দিনে শীতের এ তীব্রতা কমে আসার সম্ভাবনাও নেই। দেশের বিভিন্ন এলাকায় কুয়াশার কারণে রোদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না।
তীব্র শীতে মানুষ যেমন দুর্ভোগে পড়েছে, তেমন উরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ফসল উৎপাদনেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। একই সঙ্গে বিপাকে পড়েছেন খামারিরা।
ক্ষতিগ্রস্ত পোল্ট্রি-গবাদিপশু
বড় দুঃসংবাদ, গত দেড় সপ্তাহ থেকে মুরগির উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে বলে দাবি করছেন খামারিরা। বিভিন্ন স্থানে শীত বৃদ্ধির ফলে মুরগি ও ডিমের দামও বাজারে বেড়েছে।
শীতের কারণে মুরগির অপুষ্টি, রাণীক্ষেত, মাইকোপাজমোসিস, ফাউল টাইফয়েড, পেটে পানি জমার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। পাশাপাশি মুরগির অপুষ্টিজনিত সমস্যাও বেশ প্রকট হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কয়েকদিনের ব্যবধানে তিনটি গরু খুরা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। বাকি আটটি গরু নিয়ে আমি চিন্তিত। এগুলো বাহিরে নেওয়া যাচ্ছে না। খাবার ও ওষুধের খরচ অস্বাভাবিক বেড়েছে। উল্টো দুধের পরিমাণ আগের থেকে অর্ধেকে নেমেছে।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, শীতে সবকিছুর মতো পোল্ট্রি খাতও প্রভাবিত হয়েছে। রোগ বেড়ে গেছে। কমে গেছে উৎপাদন।
উপকূলীয় অঞ্চলে অনেকেই হাঁস পালন করে থাকেন। এসময় হাঁসের নানান ধরনের রোগও হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন খামারি। তারা জানান, এখন প্লেগ, কলেরা ও বটুলিজম রোগের প্রকোপ বেড়েছে শীতের কারণে।
অন্যদিকে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে গত দুই সপ্তাহ ধরে প্রবল শীতের কারণে গবাদিপশু শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। গরু ও ছাগলের নিউমোনিয়ায়সহ স্থানীয়ভাবে খুরা রোগের প্রকোপ বেড়েছে বলে জানা গেছে।
এছাড়া গবাদিপশু রোগের পাশাপাশি খাদ্য সংকটে অপুষ্টিতে ভুগছে। ফলে ওজন কমছে, কমে যাচ্ছে দুধ উৎপাদন।
রংপুরের শঠিবাড়ির কৃষক আমিনুর রহমান বলেন, কয়েকদিনের ব্যবধানে তিনটি গরু খুরা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। বাকি আটটি গরু নিয়ে আমি চিন্তিত। এগুলো বাহিরে নেওয়া যাচ্ছে না। খাবার ও ওষুধের খরচ অস্বাভাবিক বেড়েছে। উল্টো দুধের পরিমাণ আগের থেকে অর্ধেকে নেমেছে।