রবিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২৪, ১২:১৯:৩২

এবার যে প্রস্তাব স্বর্ণের দাম নিয়ে!

এবার যে প্রস্তাব স্বর্ণের দাম নিয়ে!

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : একেবারেই লাগামহীন দেশের স্বর্ণের বাজার। ২৯ বার এ দাম ওঠানামা করছে গত এক বছরের মধ্যে। আর এই সময়ে এক ভরি স্বর্ণের দাম বেড়েছে ২০ হাজার ২৯৬ টাকার মতো। 

এতে দেশের স্বর্ণ ব্যবসায় অনেকটা ভাটা যাচ্ছে। ঘন ঘন দামের ওঠানামার কারণে বিক্রি ও লাভ দুটোই কমছে বলে জানান বিক্রেতারা।

এ অবস্থা থেকে উত্তরণে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) কয়েকটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব রেখেছে।

এদিকে সংগঠনটি এ বিষয়ে একটি হিসাব তুল ধরে। এতে দেখা যায় সবচেয়ে ভালো মানের স্বর্ণ অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরির (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) দাম গত বছরের জানুয়ারিতে ছিল ৯০ হাজার ৭৪৫ টাকা। এরপর ২৯ বার ওঠানামায় বছর শেষে দাঁড়ায় ১ লাখ ১১ হাজার ৪১ টাকায়। এ বছর দাম বেড়ে ১ লাখ ১২ হাজার ৪৪১ টাকায় ওঠার পর আবার নেমেছে ১ লাখ ১০ হাজার ৬৯১ টাকায়।

বাজারে এ ঘন ঘন দাম পরিবর্তনে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জানিয়ে বাজুস বলছে, বিশ্ব অর্থনৈতিক অস্থিরতায় স্বর্ণ ব্যবসায় বিনিয়োগ বাড়িয়েছে বিশ্বের বড় বড় ব্যবসায়ীরা। যার দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারে। এতে বিক্রি কমে গেছে আশঙ্কাজনক হারে।

তাই বাজারে ক্রেতা ধরে রাখতে দাম নাগালের মধ্যে রাখতে চান বাজুস। এর জন্য তারা একটি প্রস্তাবও দিয়েছে।

বাজুসের সাবেক সভাপতি ও মুখপাত্র ড. দীলিপ কুমার বলেন, ধনী দেশগুলো এখন স্বর্ণকে সঞ্চয় ও রিজার্ভ হিসেবে কিনছে। তাই স্বর্ণের দাম কমা এখন দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে স্বর্ণের ওপর আরোপিত ভ্যাট যদি ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা যায় তাহলে ভরিতে স্বর্ণের দাম ৩ হাজার টাকা কমবে। আমদানি শুল্কের ক্ষেত্রেও ৫ শতাংশ দিতে হয়, সেটি কমালে আরও ৫ হাজার টাকা দাম কমবে বলে জানান তিনি।

তবে এর বাইরেও আরেকটি প্রস্তাব স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের। তারা বলছেন, দেশে স্বর্ণশোধনাগার গড়ে উঠলে বিশ্ববাজারে পিওর গোল্ডের দাম বাড়লেও কিছুটা সুবিধা করা যাবে। আর এর সুফল ভোগ করবেন ক্রেতারা।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে