রবিবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪, ০১:৩৯:৩৭

এবার একদিনেই পেঁয়াজের দাম যা হলো!

এবার একদিনেই পেঁয়াজের দাম যা হলো!

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : নাটোরের হাটগুলোতে সরবরাহ ভালো থাকলেও একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ১৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে পেঁয়াজের দাম। 

গত সপ্তাহে সরকার পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণা দেয়ার পর কেজিতে ১৫ টাকা কমলেও আমদানি না হওয়ায় তা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের। 

ব্যবসায়ীদের দাবি, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পেঁয়াজের সংকট থাকায় দাম নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না। তবে আড়তদারদারা বলছেন, আমদানি শুরু হলে কমবে পেঁয়াজের দাম। একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ১৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে পেঁয়াজের দাম।

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) নাটোরের পাইকারি বাজারগুলো প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা বিক্রি হলেও শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) নলডাঙ্গা হাটে বিক্রি হয় ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়।

জানা গেছে, গত সপ্তাহের শুরুতে জেলার পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। বর্তমানে দাম বেড়ে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সরকার পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণা দিলে পাইকারি বাজারে গত মঙ্গলবার থেকে পুনরায় প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি শুরু হয়। তবে গত ৫ দিনেও পেঁয়াজ আমদানি না হওয়ায় শনিবার আবারও দাম বৃদ্ধি পায়।

কৃষকরা জানান, মুড়িকাটা পেঁয়াজের সময় বৃষ্টি হওয়ায় বিঘাপ্রতি ফলন কিছুটা কম হলেও চড়া দামের কারণে ভালো লাভ পাচ্ছেন তারা। আর ভালো দাম পেলে চলমান চারা জাতের পেঁয়াজ বেশি আবাদ করবেন কৃষকরা।

পাবনার ব্যবসায়ী সুজাউদ্দিন সুজন বলেন, ‘আমি ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় পেঁয়াজ সরবরাহ করি। পাবনা ও ফরিদপুরসহ বিভিন্ন জেলায় মুড়িকাটা পেঁয়াজের মজুদ শেষ পর্যায়ে। বর্তমানে নাটোর ও রাজশাহী জেলায় পেঁয়াজ মজুদ রয়েছে। এছাড়া  রাজধানীসহ দেশের অধিকাংশ জেলায় পেঁয়াজের সংকট দেখা দিয়েছে। সংকট বিপরীতে চাহিদা বেশি থাকায় সেসব জেলায় চড়া দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।’

আড়তদার রানা আহমেদ বলেন, ‘পেঁয়াজ আমদানি শুধু ঘোষণার মধ্যে থাকলে হবে না। দ্রুত আমদানি না করলে দাম আরও বৃদ্ধি পাবে।’

চলতি বছর নাটোর জেলায় ৪ হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষিবিভাগ।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে