বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ০১:৫৩:৪৯

যেসব নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি

যেসব নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি

নিউজ ডেস্ক : বিএনপি বেশ কিছু নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, জাতীয় কউন্সিল থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন প্রসঙ্গ। দলের জাতীয় কাউন্সিল সফল করতেচেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে প্রধান করে প্রস্তুতি কমিটি এবং ১১টি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে দলটি। বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কথা জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, গতকাল (বুধবার) বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সকলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি বেগম জিয়াকে প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারপারসন করা হয়। ওই বৈঠকে গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য বেগম জিয়াকে অনুরোধ করা হয় এবং চেয়ারপারসন ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের  ক্ষেত্রে গঠনতন্ত্রের ১৯ (ক) ধারা মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। একই সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্তে নেয়া হয় জাতীয় কাউন্সিলের আগেই চেয়ারপারসন ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচন করা হবে।

এজন্য নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব দেয়া হয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারকে। এতে আমীনুল হককে সদস্য সচিব ও হারুন অর রশিকে সদস্য করা হয়।

বিএনপির জাতীয় কাউন্সিলের ১১টি উপ-কমিটির আহ্বায়ক হলেন-অর্ভ্যথনা উপ-কমিটির আহ্বায়ক মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ঘোষণাপত্র উপ-কমিটির আহ্বায়ক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম, শৃঙ্খলা উপ-কমিটির আহ্বায়ক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, ড্রাফটিং উপ-কমিটির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম খান, ব্যবস্থাপনা ও প্রচার উপ-কমিটির আহ্বায়ক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আন্তর্জাতিক উপ-কমিটির আহ্বায়ক সাংবাদিক শফিক রেহমান, প্রকাশনা উপ-কমিটির আহ্বায়ক বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, চিকিৎসা উপ-কমিটির আহ্বায়ক বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এ জেড এম জাহিদ হোসেন, তথ্য ও যোগাযোগ উপ-কমিটির আহ্বায়ক বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংস্কৃতিক উপ-কমিটির আহ্বায়ক বিএনপি সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক গাজী মাজহারুল আনোয়ার। এছাড়া অর্থ বিষয়ক উপ-কমিটির আহ্বায়ক হিসাবে এখনও পর্যন্ত কাউকে দায়িত্ব দেয়া হয়নি।

ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা একটি গভীর চক্রান্ত, দেশকে রাজনৈতিক শূণ্য করা ও খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার একটি হীন ষড়যন্ত্র বলে মনে করে স্থায়ী কমিটি। জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্যই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। স্থায়ী কমিটির সভা থেকে এ মামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয় ও সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

এছাড়া সকল রাজনৈতিক বন্দির মুক্তি, সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ ও আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ আটক সাংবাদিকদেরও মুক্তির দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসেন উপদেষ্টা এম এ মান্নানের মুক্তির দাবি জানানো হয় সভায়।

এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আগামী ১৯ মার্চ বিএনপির জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। তবে কাউন্সিল করার জন্য অনুমতির চেয়ে ৩টি স্থানের আবেদন করেছিলাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারেনি কোথার কাউন্সিল হবে। এখনও আমরা অনুমতি পাইনি। তবে আশা করছি দুয়েক দিনের মধ্য জানতে পারব।

বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে জাতীয় কাউন্সিল হতে পারে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিএনপির এ নেতা বলেন, সভা নিয়ে পত্র-পত্রিকায় যে সব সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তার সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্তের কোনো মিল নেই। এই জন্য আমরা বলে থাকি, আমরা যতক্ষণ না, আপনাদেরকে বলি ততক্ষণ পর্যন্ত প্রতিবেদন করবেন না।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকনসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, আসন্ন ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে বিএনপি। নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের লক্ষ্যে সিনিয়র নেতাদেরকে তৃণমূলে যোগাযোগ রাখার ব্যাপারে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে