শুক্রবার, ০৫ জুলাই, ২০২৪, ১১:৪৪:২২

বড় সুখবর আয়হীন বয়স্কদের জন্য

বড় সুখবর আয়হীন বয়স্কদের জন্য

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বড় সুখবর, দেশের বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় আনতে চায় সরকার। এ জন্য বর্তমানে যাঁরা বয়স্ক তাঁদের জন্য বৃদ্ধকালীন সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ‘সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক একটি বিশেষ প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থা আরো ব্যাপক ও জোরদার করা এর লক্ষ্য। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সর্বজনীন পেনশন পরিকল্পনার আওতায় দেশের সব নাগরিককে পেনশন সুবিধার আওতায় আনতে চায় জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। সংস্থাটির বর্তমান পরিকল্পনায় আয়হীন বয়স্কদের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো উদ্যোগ নেই। তা ছাড়া এখন শুধু সরকারি অবসরপ্রাপ্তরা পেনশন সুবিধা পান। এর বাইরের অনেক বয়স্ক ব্যক্তি পেনশন পরিকল্পনায় নেই।

১০ বছর চাঁদা দিয়ে স্কিমে যুক্ত হওয়ার সক্ষমতাও অনেকেরই নেই। তাঁরা শুধু সামাজিক সুরক্ষার আওতায় ছোট একটি বয়স্ক ভাতা পান। নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হলে সরকারি চাকরিজীবীর বাইরের বয়স্করাও পেনশন সুবিধার আওতায় আসবেন।  দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য পেনশন সুবিধা নিশ্চিত করতে চায় সরকার।

এ জন্য ছয়টি স্কিমের আওতায় বিস্তারিত পরিকল্পনা নিয়েছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে পাঁচটি কর্মসূচি বাস্তবায়নের কাজ করছে সংস্থাটি। আগামী অর্থবছর থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের একটি পেনশন কাঠামোতে নিয়ে আসতে সেবক স্কিমের রূপরেখা নিয়ে কাজ করছে এটি।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বয়স্কদের পেনশন সুবিধার প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২ কোটি ৫০ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় তিন হাজার ৮০২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এর মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) প্রকল্প সহায়তা দেবে ২৫ কোটি এবং সাড়ে সাত কোটি ডলার আসবে সরকারি কোষাগার থেকে।

অর্থ বিভাগ সূত্র জানায়, প্রকল্পটির প্রাথমিক উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রস্তাব (পিডিপিপি) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলেই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। সম্প্রতি অর্থ বিভাগে এক চিঠির মাধ্যমে এডিবির সহযোগিতার কথা জানিয়েছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।

দেশের জনগোষ্ঠীকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় এনে বৃদ্ধকালীন জীবন-জীবিকার সুরক্ষা দিতে জাতীয়ভাবে সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তনের লক্ষ্যে সরকার ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩’ পাস করেছে। ২০২৩ সালের এপ্রিলে এই আইনের আওতায় জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ (এনপিএ) প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী সে বছরেরই ১৭ আগস্ট সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। প্রাথমিকভাবে সর্বজনীন পেনশনের চারটি স্কিম হচ্ছে যথাক্রমে ‘প্রগতি’, ‘সমতা’, ‘প্রবাস’, ‘সুরক্ষা’ স্কিম। চলতি বছরের শুরু থেকে ‘প্রত্যয়’ স্কিম চালু করা হয়েছে।

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, এখন ৫০ বছর বা ৬০ বছরের বেশি বয়সী যাঁরা আছেন তাঁরাও ১০ বছর স্কিমে চাঁদা দিয়ে পেনশন সুবিধা নিতে পারবেন। তবে অতি বয়স্কদের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়নি। তাঁরা কেবল এখন সামাজিক সুরক্ষার আওতায় বয়স্ক ভাতা পান। তবে আগামী দিনে তাঁদের জন্য সহযোগিতা বাড়াতে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে। 

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার পরিধি বাড়ানোর জন্য ‘স্ট্রেনদেনিং ইউনিভার্সাল পেনশন সিস্টেম’ শিরোনামে একটি প্রকল্পের পিডিপিপি বিষয়ে এডিবি ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের মধ্যে সভা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে শুরু করে ২০২৮ সালের জুন মাস পর্যন্ত।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে