এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : রাষ্ট্র সংস্কারের প্রস্তাবনায় সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিকে সমর্থন জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটি বলেছে, চাকরিতে প্রবেশের সময়সীমা আগামী ২ বছরের জন্য ৩৫ এবং পরবর্তীতে স্থায়ীভাবে ৩৩ বছর আর শেষ হবে ৬২ বছর বয়সে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে দলটির নায়েবে আমির ডা. আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এসব প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। এ সময় দলটির আমির ড. শফিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
জামায়াত নেতা তাহের বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে আবেদন বিনামূল্যে করতে হবে। চাকরিতে বয়স সময়সীমা আগামী ২ বছরের জন্য ৩৫ ও পরবর্তীতে স্থায়ীভাবে ৩৩ বছর আর শেষ হবে ৬২ বছর বয়সে।’
এ সময় সরকারি চাকরিতে প্রশ্নফাঁস বা দুর্নীতি করে যারা চাকরি পেয়েছে তাদের নিয়োগ বাতিল করার দাবি জানানো হয়। একইসঙ্গে দুদককে শক্তিশালী করে স্বাধীনভাবে কাজ করার ব্যবস্থা করতে প্রস্তাব দেয়া হয়।
বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা কারার প্রস্তাব দিয়ে ডা. তাহের বলেন, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে আইন সংস্কার করতে হবে। দেওয়ানী মামলা ৫ বছর ও ফৌজদারীতে ৩ বছরের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করতে হবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা স্থায়ীভাবে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বলা হয়, আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছিল, কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছিল। এখন এটি অন্তর্ভুক্ত করতে এবং ইভিএম বাতিল করতে হবে।
পুলিশের আইন পরিবর্তন করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বদলি পদোন্নতির জন্য স্বাধীন কমিশন গঠন করতে হবে। কোনো সুপারিশের সুযোগ রাখা যাবে না। পুলিশ ট্রেনিংয়ের মধ্যে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা রাখতে হবে। মারণাস্ত্র সংক্ষিপ্ত করতে হবে।
পরপর দুবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না- এমন প্রস্তাবনা দিয়ে জামায়াতে ইসলামের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য থাকতে হবে।
এ সময় শিক্ষা ও দেশের বিনোদন সেক্টর নিয়েও সংস্কারের কথা তুলে ধরা হয় জামায়াতের পক্ষ থেকে।