মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন : প্রিয় নবীজির পরিপূর্ণ অনুসরণ-অনুকরণের মাঝেই রয়েছে ইহকালীন ও পরকালীন জীবনের সাফল্য। মহান আল্লাহর ভালোবাসা অর্জনের মূল মাধ্যম হলো প্রিয় নবীজির অনুসরণ।
প্রিয় নবীজির ভালোবাসা অন্তরে ধারণ করে, জীবনে বাস্তবায়ন করে খলিফায়ে রাসুল (দ.) হজরত গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু নবী প্রেমিকদের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠতম আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। নিজে যেমন অনুসরণ ও অনুকরণ করেছেন তেমনি স্বীয় অনুসারীদেরও সেই সুমহান পথে পরিচালিত করেছেন।
এমন এক মহান তরিক্বত পৃথিবীবাসীর জন্য উপহার দিয়ে গেছেন যে তরিক্বতে রয়েছে সিনা-ব-সিনা তাওয়াজ্জুহের মাধ্যমে রাসুলে পাক (দ.) এর বাতেনি নূর গ্রহণ, ফয়েজে কুরআনের মাধ্যমে কুরআনের নূর লাভের সুযোগ, সুন্নাতে মোস্তফার অনুসরণ, মোরাকাবা এবং দৈনিক ১১১১ বার দুরুদে মোস্তফার অনুশীলন; আবার এ দরুদ শরিফ কখনো ক্বাজা হলে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে আদায় করার সুমহান বিধান।
শুধু তাই নয়, রাসুলের এই তরিক্বাতে রয়েছে অভ্যন্তরীণ পরিশুদ্ধির মাধ্যমে চারিত্রিক বিশুদ্ধতা অর্জন, ইবাদাত-বন্দেগিতে একাগ্রতা ও এখলাসের শিক্ষা। আধুনিকতা ও পাশ্চাত্যের অপসংস্কৃতি থেকে যুবসমাজকে ফিরিয়ে এনে ‘সৎ কাজের আদেশ ও মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকা’র আদর্শ বাস্তবায়ন করার জন্য প্রতিষ্ঠা করেছেন মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ। নবীজির হারানো সুন্নাতকে পুনজীর্বিত করে নবীপ্রেমের বিস্তার করেছেন পৃথিবীর সর্বত্র। যে সংগঠনের কবুলিয়্যতের প্রমাণ অলৌকিকভাবে বারংবার প্রমাণিত হয়েছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) চট্টগ্রাম নগরীর লালদীঘি ময়দানে পবিত্র জশ্নে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উদযাপন ও খলিলুল্লাহ্, আওলাদে মোস্তফা, খলিফায়ে রাসূল (দ.) হজরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহুর স্মরণে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক গাউছুল আজম কনফারেন্সে কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরিফের মোর্শেদ আওলাদে রাসুল (দ.) আল্লামা অধ্যক্ষ শায়খ ছৈয়্যদ মোর্শেদে আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবুল মনছুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গাউছুল আজম কনফারেন্সে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জমিয়তুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব আল্লামা অধ্যক্ষ শাব্বির আহমদ মোমতাজি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. জালাল আহমদ।
বক্তব্য দেন মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ কাজী আনোয়ারুল আলম ছিদ্দিকী, মাওলানা মুহাম্মদ আবদুস সবুর, মাওলানা মুহাম্মদ ফোরকান, মাওলানা মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন, মাওলানা মুহাম্মদ এরশাদুল হক, মাওলানা মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন নূরী, মাওলানা মুহাম্মদ রকিব উদ্দিন, মাওলানা মুহাম্মদ গোলাম রাব্বানি ফয়সাল।
মিলাদ-কিয়াম শেষে প্রধান অতিথি দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি-সমৃদ্ধি এবং কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরিফের প্রতিষ্ঠাতা হজরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহুর ফুয়ুজাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন।-ঢাকা পোস্ট