এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বাজারে গরুর মাংসের দামের ঊর্ধ্বগতিতে দিশে হারা সাধারণ ভোক্তারা। ৭৫০টাকা কেজি গরুর মাংস অনেকেই কিনে খেতে পারে না। তার ওপর আবার পরিমাণের বিড়ম্বনার জন্য অনেকে হয়তো বছর খানেক মুখে নিতে পারেনি এই মাংসের স্বাদ।
এবার উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সেই মাংস ক্রেতা নিতে পারবেন ৫৫০ টাকা কেজিতে। নওগাঁর মান্দা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার উপজেলা সংলগ্ন বাজারে এই মাংস নিতে পারবে সবাই।
জেলা প্রশাসক আবদুল আউয়াল এর পরিকল্পনায় ১২ ডিসেম্বর থেকে এই ৫৫০টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি শুরু করে মান্দা উপজেলা প্রশাসন। প্রথম দিনে ১৩৫ কেজি মাংস মাত্র ৩০ মিনিটেই বিক্রি হয়ে যায়। সর্বোচ্চ ১ জন ১ কেজি এবং সর্বনিম্ন ২৫০ গ্রাম মাংস কিনে নিতে পারবেন ক্রেতা। এই বাজারের উদ্বোধন করেন মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহ আলম মিয়া।
ক্রেতারা কম দামে মাংস কিনে নিতে পেরে খুশি। এমন ব্যবস্থা যদি সরকার করে থাকে তবে সেটা তাদের জন্য ইতিবাচক বলে মনে করেন তারা । তারা জানিয়েছেন, ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজি গরুর মাংস অনেকেই খেতে পারে না। তার মধ্যে আবার অল্প পরিমাণ কেনারও ব্যবস্থা থাকে না বাজারে। এই দোকানে কম দামের পাশাপাশি স্বল্প পরিমাণে মাংস কিনতে পেরে তারা খুশি। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গরুর মাংস খেতে কষ্ট কিছুটা লাঘব হবে বলে তারা জানান।
ক্রেতারা দাবি জানান- এমন ব্যবস্থা যেন সবসময় থাকে। এতে করে সাধারণ মানুষ কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবে।
এ বিষয়ে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহ আলম মিয়া জানিয়েছেন, বাজারে তুলনামূলক ভাবে গরু মাংসের দাম ৭০০ টাকা কেজি। ফলে সমাজের গরীব অসহায় মানুষ ইচ্ছে হলেও মাংস কেনার সামর্থ্য ছিল না। এখানে ২৫০ গ্রাম থেকে সর্বোচ্চ ১ কেজি পর্যন্ত মাংস একজন ক্রয় করতে পারবে। এর ফলে সাধারণ মানুষ তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী মাংস কিনে খেতে পারবে। এছাড়া বাজারে গরুর মাংসের বিক্রেতাদের প্রশাসনের এমন ন্যায্য দামে বিক্রির নিয়ে কোন আপত্তি না থাকার কথা তিনি জানিয়েছেন।
এদিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান জানিয়েছেন, জবাইকৃত গরুটিকে প্রথমে ভালোভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তারপর মাংসের উপযোগী করা হয়েছে। এর ফলে ভোক্তাদের এই মাংস কিনে খেতে কোন সমস্যা হবে না বলে জানান তিনি।