বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৬:২৭:২৬

এই বাংলার মাটিতে ইসলামের পতাকা, কালেমার পতাকা উড্ডীন হবেই হবে, ইনশাল্লাহ: সাঈদীর ছেলে

এই বাংলার মাটিতে ইসলামের পতাকা, কালেমার পতাকা উড্ডীন হবেই হবে, ইনশাল্লাহ: সাঈদীর ছেলে

মিরসরাই (চট্টগ্রাম): সাঈদী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মেজ ছেলে শামীম বিন সাঈদী বলেছেন, কোরআনের পাখিকে জেলখানা থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলো হ্যার্ট এ্যাটাকের কথা বলে। 

হার্ট এ্যাটাকের রোগী হুইল চেয়ারে চলে নাকি স্ট্রেচারে শুয়ে থাকে? সেদিন তিনি এত সুন্দর মিষ্টি মধুর হাসি দিলেন- এর আগে কি কখনো এত সুন্দর হাসি দেখেছেন তার? আমি দেখিনি। আপনারা দেখছেন কিনা জানি না।

চট্টগ্রামের মিরসরাই সোবাহানিয়া দরবার শরীফের ১১৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঐতিহাসিক আজিমুশ্শান ওয়াজ মাহফিলে বুধবার (১ জানুয়ারি) রাতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শামীম বিন সাঈদী বলেন, ‘তিনি (দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী) যাওয়ার আগে সারা পৃথিবীর মানুষকে এত সুন্দরভাবে সালাম দিয়ে বিদায় নিয়ে গেলেন। কারো কপালে এরকম সৌভাগ্য হয় না। কেউ একজন জিজ্ঞেস করেছেন- আপনার কি কষ্ট হচ্ছে? কেমন আছেন? তিনি সাথে সাথে বললেন- আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আমাকে অনেক ভালো রেখেছেন। আপনারা দেখছেন না ভিডিওতে? ওই যে হাসি দেখছেন, এটা কি শুধু হাসি! এটা শুধু হাসি না; ওই হাসির মাঝে প্রতিবাদ আছে।

১৩ বছর নয় ২৬ বছর নয়, ৩০ বছর বন্দী করে রাখলেও আল্লামা সাঈদীর মাথা নত হতে জানে না। তার চলে যাওয়া অস্বাভাবিক ছিল। কারণ তাকে হাসপাতালে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এই হত্যার বিচার চাই। কোরআনের রাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই প্রতিশোধ নেব ইনশাল্লাহ।’

তিনি আরো বলেন, ‘৫ মে আলেম ওলামাদেরকে শাপলা চত্বরে নিয়ে লাইট অফ করে দিয়ে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আলেম ওলামাদের রক্ত বৃথা যাবে না। এই বাংলার মাটিতে ইসলামের পতাকা, কালেমার পতাকা উড্ডীন হবেই হবে। ইনশাল্লাহ।

সেদিন দূরে নয়, যে স্বপ্ন দেখেছেন আল্লামা সাঈদী সেই স্বপ্ন ইনশাল্লাহ অল্প সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন হবে। আল্লাহ আমাদেরকে দেখাবেন। তিনি দেখতে পারেন নাই। কিন্তু আল্লাহ আপনাদেরকে দেখাবেন।’ 

সোবহানিয়া জামেয়া-ই-নাছেরীয়া ট্রাস্ট ময়দানে অনুষ্ঠিত মাহফিল বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসিরীনের সহসভাপতি ও সোবহানীয়া কমপ্লেক্সে, মিরসরাইয়ের পীর সাহেব (শাহ আল্লামা) আবদুল মোমেন নাছেরীর সভাপতিত্বে বিশেষ মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এস.এইচ এজেন্সি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আব্দুল আলীম, ধর্মীয় আলোচক ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (অবসরপ্রাপ্ত) মো.  রোকন উদ-দ্দৌলা, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বায়তুল মোয়াজ্জম জামে মসজিদের খতিব প্রফেসর ড. মো. সফিউদ্দিন মাদানী।

এ সময় প্রধান মুফাসসির হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলাহুল উম্মাহ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাওলানা আবু হানীফ নেছারী।

প্রধান ওয়ায়েজ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত নায়েবে আমির, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির শাইখুল হাদীস আল্লামা মহিউদ্দিন রাব্বানী। বিশেষ ওয়ায়েজ হিসেবে ছিলেন চট্টগ্রাম সরকারি পলিটেকনিক্যাল জামে মসজিদের খতিব ও অধ্যাপক মাওলানা বোরহান উদ্দিন, বারো আউলিয়া বাইতুল আমান জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুল হালিম হেলালী, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মিরসরাই উপজেলার আমীর মাওলানা নুরুল কবির, সোবহানীয়া জামেয়া-ই-নাছেরীয়া ট্রাস্টের পরিচালক পীরজাদা আবু তাহসিন নাছেরী।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে