এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : শেখ হাসিনা তার নিজের ও দলের স্বার্থে বিডিআরের নির্দোষ সদস্যদের কুরবানি দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রখ্যাত আলোকচিত্রী ও সাংবাদিক শহিদুল আলম।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে কারা নির্যাতিত পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে পিলখানা হত্যাকাণ্ড মামলায় পুনঃতদন্ত কমিশনের প্রজ্ঞাপনে (ঙ) নম্বর ধারা বাতিল ও সুষ্ঠু বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত এবং চাকরিচ্যুতদের পুনঃবহালের দাবি জানানো হয়।
শহিদুল আলম বলেন, আমি কারাগারে থাকাবস্থায় নিয়মিত বিডিআর সদস্যদের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। বিষয়টি আমার পরিবার ও বন্ধুরা জানতে পারার পরে আমাকে তারা নিষেধ করেছেন। বিডিআর সদস্যদের সাক্ষাতের অনেক নোট আমার কাছে আছে। সেই সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতেই আমি কথা বলছি। যেই নিপীড়ক সরকারকে আমরা কষ্ট করে হটিয়েছি। এই নিপীড়ক শেখ হাসিনার সরকার তার ব্যক্তি ও দলের স্বার্থে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের ক্ষতি করে পার্শ্ববর্তী দেশকে সুযোগ দেওয়ার জন্য, প্রতিদ্বন্দ্বীদের দুর্বল ও আমাদের দেশে বলিষ্ঠ সেনাবাহিনী-বিডিআরকে দুর্বল করতে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
তিনি বলেন, কারাগারে আমার অনেকের সঙ্গে কথা হয়েছে। অনেকের নাম আমি বলতে পারব। ছোট করে যদি বলি হবিগঞ্জের বিডিআর সদস্য রিয়াজ হোসেন চৌধুরী। তিনি মামলার ৩১২ নম্বর আসামি। তিনি মেজর শফিকুল ইসলামের বডিগার্ড ছিলেন।
বিদ্রোহের সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শফিকুল ইসলামের স্ত্রীকে পালাতে সহযোগিতা করেন। যাতে তিনি নিরাপদে বের হতে পারেন। শুধু রিয়াজ না তাদের মতো শত শত বিডিআর সদস্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। এসব নিরীহ মানুষগুলো দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে বন্দি রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমি আরও কিছু বিষয় বলতে চাই। কারা এসেছিলো, কারা এই হত্যায় জড়িত সবই আমাদের জানা রয়েছে। আমি নিজে ভুক্তভোগী কীভাবে নিপীড়ন করা হয়েছে। কীভাবে মিথ্যা কথা বলা ও আদালতে মিথ্যা তথ্য দেওয়া হয়েছে।
বিচারক নিজেই বলেছেন মামলায় যে কথা বলা হয়েছে একটারও কোনো প্রমাণ নেই। বিডিআরের ক্ষেত্রে যা যা বলা হয়েছে তার একটারও কোনো প্রমাণ নেই।