এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : পাঠ্যবইয়ে ‘আদিবাসী’ শব্দসংবলিত গ্রাফিতি বাদ দেওয়ার প্রতিবাদ চলাকালে বিক্ষোভকারীদের ওপর বুধবারের হামলার ঘটনায় আটক ‘স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি’র দুইজন আহত নন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন এ কথা জানান।
গতকাল বুধবার রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় জাতীয় পাঠ্যক্রম ও টেক্সটবুক (এনসিটিবি) ভবনের সামনে ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলার ঘটনায় ‘স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি’র দুইজনকে আটক করে পুলিশ। তারা হলেন-আরিফ আল খবির এবং মো. আব্বাস।
তাদের মাথায় গতকাল ব্যান্ডেজ দেখা গিয়েছিল এবং তারা আহত হয়েছিলেন বলে দাবি করেছিলেন।
ওসি মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘গত রাতে আমরা দুজনকে আটক করেছি। কিন্তু তাদের মাথায় কোনো আঘাত বা ব্যান্ডেজ পাইনি।’ ‘এ ঘটনার জন্য মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে,’ বলেন তিনি।
বুধবার আদিবাসী বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলার পর আরিফ আল খবির ও আব্বাস। তারা কপালে রক্তাক্ত ব্যান্ডেজ বেঁধে গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, তাদের ওপর হামলা হয়েছে এবং তারা আহত হয়েছেন।
‘স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি’ যুগ্ম-আহ্বায়ক ইয়াকুব মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, এনসিটিবি অফিস থেকে বেরিয়ে আসার পর তারা তাদের কর্মীদের আহত অবস্থায় দেখতে পান।
তবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত টেলিভিশন সাংবাদিক শাহাদাত হোসেন কিফাত বলেন, ‘তাদের মাথায় ব্যান্ডেজ বেঁধে দেওয়া হয় এবং তার উপর রক্তের মতো করে ভায়োডিন (মলম) লাগিয়ে দেওয়া হয়।’ বিষয়টি জানতে চাইলে ইয়াকুব এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে আদিবাসী শিক্ষার্থীরা এনসিটিবি ভবনের সামনে পৌঁছানোর আগেই ‘স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি’র সদস্যরা জাতীয় পতাকা বাঁধা ক্রিকেট স্ট্যাম্প হাতে সেখানে অবস্থান নেয়। এসময় সেখানে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পুলিশ গিয়ে দুই গ্রুপকে সরিয়ে দিয়ে মাঝে অবস্থান নেয়।
কিছুক্ষণ পর ‘স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি’র সদস্যরা আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। এতে অনেকে আহত হন এবং তাদের মধ্যে অন্তত ১০ জনকে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়।