এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : দিনভর অভিযান শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুরের লকার অনুসন্ধান করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অনুসন্ধান শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ত্যাগ করেছেন কর্মকর্তারা। দিনভর নাটকীয়তা শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আমজাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’
এর আগে রবিবার সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুরের ব্যক্তিগত লকার খুলতে বাংলাদেশ ব্যাংকে আসে দুর্নীতি দমন কমিশনের সাত সদস্যের দল।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, সকালেই স্বর্ণকারকে খবর দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। স্বর্ণকার এলেও তাঁর অবদান সম্পর্কে কিছু জানায়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
লকার খোলার সময় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ দুদক পরিচালক কাজী মো. সায়েমুজ্জামানের সঙ্গে সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ ব্যাংকে উপস্থিত হয়।
তবে গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ৯টায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুরের লকারে পাওয়া গেছে ৫৫ হাজার ইউরো, এক লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার, এক কেজি ৫৪ গ্রাম স্বর্ণ এবং ৭০ লাখ টাকার এফডিআর।
এদিকে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল রবিবার মধ্যরাতে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লেখেন, শুধু বাংলাদেশ ব্যাংকের লকারেই ব্যাংকটির সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরীর রাখা ৫৫ হাজার ইউরো, ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার পাওয়া গেছে । পাশাপাশি ৭০ লাখ টাকার এফডিআর ও প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা মূল্যের এক কেজি সোনার অলংকারও সেখান থেকে জব্দ করা হয়েছে । পুরো তদন্ত হলে হয়তো আরও বহুকিছু উদ্ধার হবে তার কাছ থেকে। অভিযোগ রয়েছে রক্ষক না হয়ে তিনি ছিলেন ভক্ষকের ভূমিকায়।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি অভিযান চালিয়ে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে এস কে সুরের বাসা থেকে ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা জব্দের সময় তার নামে বাংলাদেশ ব্যাংকে ভল্ট থাকার তথ্য পায় দুদক।